বাদশা বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি সুদ ব্যবসা ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি শহীদ মিনারে যান না, মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করেন কিনা জানি না।
তিনি আরও যুক্ত করেন, ড. ইউনূস ৫টি নোবেল পুরস্কার ক্রয় করে আনলেও আমাদের কিছু যায় আসে না। আমরা তাকে কোনো সম্মান বা প্রশংসা করতে পারবো না।
ফজলে হোসেন বাদশা রোববার (০৫ মার্চ) সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি হেফাজতের দাবি মেনে পাঠ্যপুস্তক পরিবর্তনের অভিযোগ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তীব্র সমালোচনা করেন।
ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, খবরের কাগজে দেখলাম ড. ইউনূসের প্রশংসা করার জন্য অর্থমন্ত্রীর তীব্র সমলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রী কেনই বা ইউনূসের প্রশংসা করতে গেলেন, ইউনূসের প্রসংশার কী কারণ খুঁজে পেলেন অর্থমন্ত্রী।
মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আট বছর ধরে ক্ষমতায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ এগিয়ে নেওয়ার জন্য সংগ্রাম করছি। এখন যে ব্যক্তিটি সরকার ও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে, তার প্রশংসা কেউ করতে পারে, এটা বিশ্বাস করতে পারি না। আমার মনে হয়, তিনি এটা মন থেকে করেছেন, বিশ্বাস হয় না।
পাঠ্যপুস্তক পরির্তনের অভিযোগ ও এর তীব্র সমালোচনা করে ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, যে জঙ্গিবাদিদের চাপাতির নিচে হুমায়ুন আজাদ, অভিজিৎসহ মুক্তমনারা নিহত হয়েছেন। জানতে চাই আমাদের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কি সেই জঙ্গিবাদিদের চাপাতির তলায় পড়েছে?
ফজলে হোসেন বাদশা আরও বলেন, আজকে হাইকোর্টে ন্যায় বিচারের প্রতীক ভাস্কর্যকে অপসারণের জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এটা যদি আমরা প্রতিরোধ করতে না পারি, তাহলে একদিন অপারাজেয় বাংলার ভাস্কর্যও ‘মূর্তি’ বলে ভাঙার জন্য তারা এগিয়ে আসবে। তাই আমরা যদি আপোস ও সমঝোতা করি তাহলে আরও আঘাত আসবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৭
এসকে/আইএ
