প্রকৃতির এ খেয়ালের কারণে এবার এপ্রিল-মে মাসে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, বৈশাখ-জৈষ্ঠ্যতে প্রকৃতি একটু খেয়ালি রূপেই থাকে।
অধিদফতরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাস কৃষি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সব দফতরে পাঠানো হয়েছে।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, এপ্রিলে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে দুই থেকে তিনটি মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাবে। তাপমাত্রা থাকবে ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বইবে মাঝারি তাপপ্রবাহও।
এক্ষেত্রে তাপমাত্রা থাকবে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। এছাড়া অন্তত একটি তীব্র তাপপ্রবাহ বইবে। সে সময় তাপমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত বছরও ৪০ এর ঘরে গিয়ে ঠেকেছিল তাপমাত্রা। সে সময় এপ্রিল-মে মাসে বৃষ্টিপাত হয়েছিল খুব কম। তাপমাত্রা বেড়ে হয়েছিল ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর আগে ২০১৪ সালে এ সময়টাতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে বঙ্গোপসাগরে এ সময় এক থেকে দু’টি নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে অন্তত একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এপ্রিলে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে তিন থেকে চারদিন মাঝারি অথবা তীব্র কাল বৈশাখী বা তীব্র বজ্রঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে। আর দেশের কোথাও ২ থেকে ৩ দিন একই অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশজুড়ে মে মাসেও একই অবস্থা বিরাজ থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
অন্যদিকে এপ্রিলে সিলেটে সর্বোচ্চ অর্থাৎ তিনশ’ ৪০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে। যা ১২ থেকে ১৫ দিন স্থায়ী হতে পারে। আর সবচেয়ে কম অর্থাৎ ৯০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে খুলনায়। রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ৮ দিনে বৃষ্টিপাত হতে পারে সর্বোচ্চ ৯৫ মিলিমিটার।
ঢাকাতে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে ৮ দিন। তবে দুই একদিনের হেরফের হলেও হতে পারে। এছাড়া ঢাকায় সর্বোচ্চ ১৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এপ্রিল-মে মাসে নদ-নদীর প্রবাহ স্বাভাবিক থাকলেও পাহাড়ি ঢলে আকস্মিক বন্যা হবে। ইতোমধ্যে অনেক অঞ্চলে শুরু হয়েছে আকস্মিক বন্যা।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৭
ইইউডি/এএটি/আরআই