ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘ভোটার দিবস’ উদযাপনের কোনো পরিকল্পনা নেই

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৭
‘ভোটার দিবস’ উদযাপনের কোনো পরিকল্পনা নেই ‘ভোটার দিবস’ উদযাপনের কোনো পরিকল্পনা নেই। ফাইল ফটো

ঢাকা: একটি নির্ভুল ও কার্যকরী ভোটার তালিকায় সর্বাধিক সংখ্যক যোগ্য নাগরিককে অন্তর্ভূক্ত করতে ভোটার দিবস উদযাপন একটি মোক্ষম উপায় হতে পারে।

কিন্তু এ নিয়ে কোনো পরিকল্পনাই নেই নির্বাচন কমিশনের (ইসি)।

সংস্থাটির কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা বাংলানিউজের কাছে অভিমত প্রকাশ করেন, ভোটার দিবস উদযাপন  একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।

এতে নাগরিকদের মাঝে ভোটার হওয়ার ব্যাপারে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি হবে। এছাড়া সাধারণ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ভোটার হওয়ার প্রতি আগ্রহও বাড়বে।

বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ ভারতেও একটি ভোটার দিবস উদযাপন করা হয়। সেদেশে নির্বাচন কমিশন ২৫ জানুয়ারি উৎসবমুখর পরিবেশেই দিবসটি উদযাপন করে থাকে। মূল লক্ষ্যই হচ্ছে, ভোটার তালিকায় যোগ্য তরুণদের সর্বাধিক অন্তর্ভূক্তি নিশ্চিত করা। ভারত এই দিবস উদযাপনের উদ্দেশ্য পূরণে সফলও হয়েছে। ২০১১ সালে দেশটি সর্বপ্রথম ভোটার্স ডে উদযাপন করে। সে-বছর ৫২ লাখ তরুণকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করে। এছাড়া সব মিলিয়ে অন্তর্ভূক্ত করা হয় প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ নতুন ভোটার।

এদিকে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন প্রথাগত উপায়ে বাড়িবাড়ি গিয়ে সম্পন্ন করা ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রায় প্রতিবারই ব্যর্থ হয়। এক্ষেত্রে যোগ্য ভোটারদের অনেকে সাড়া দেন না। ইসির তদন্তে এটা বেরিয়ে এসেছে। ভোটার হওয়া যে নাগরিক অধিকার এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, সে সচেতনতাটুকুই অনেকের মধ্যে নেই।

কর্মকর্তারা আরো বলছেন, ভোটার ডে থাকলে একদিকে যেমন তরুণরা ভোটার হওয়ার উৎসাহ পাবে, তেমনি নির্বাচনে ভোট পড়ার হারও বাড়বে।

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তাদের অনেকে বলছেন, যেহেতু সত্তর সালের নির্বাচনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পথ প্রশস্ত হয়েছিল, সেহেতু সেই নির্বাচনের দিনটাকেই ভোটার দিবস হিসেবে উদযাপন করা যেতে পারে। কেননা, ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছিল। একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছিল জনগণ। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী সে রায়কে মেনে না নিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের নিরীহ জনগণের ওপর চালিয়েছিল অপারেশন সার্চ লাইট। ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের নির্বাচনের হয়েছিল ৭ ডিসেম্বর। আর প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন হয়েছিল ১৭ ডিসেম্বর। তাই সেই তারিখে ভোটার দিবস উদযাপন করলে সবচেয়ে ভাল হবে। কেননা, এতে ইতিহাসটাও জানা হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, একটা ভোটার দিবস উদযাপন করা যেতেই পারে। বিষয়টা ভাল। তবে এ নিয়ে এখনো কোনো পরিকল্পনা নেই। কমিশনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো।

প্রতিবছর ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় একদিকে যেমন ভোটার অন্তর্ভূক্তি থেকে অনেকে বাদ পড়েন, তেমনি বাদ পড়েন মৃত ভোটার।

ইসি কর্মকর্তাদের মতে, ভোটার দিবস ভোটার এডুকেশনের কাজও করবে। এতে স্বপ্রণোদিতভাবেই অনেকে ভোটার হতে ও মৃত ভোটার বাদ যাওয়ার তথ্য দেবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৭
ইইউডি/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।