ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রায়ে সন্তুষ্ট রাজনের বাবা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৭
রায়ে সন্তুষ্ট রাজনের বাবা

ঢাকা: ছেলে হত্যার আপিলের রায়ে চারজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাজনের বাবা শেখ মো. আজিজুর রহমান।

রায় ঘোষণার পর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, এ রায়ে আমি সন্তুষ্ট। আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

পাশাপাশি সরকারকেও ধন্যবাদ যে অতি দ্রুত আমার ছেলে হত্যা বিচারের ব্যবস্থা করেছে।  

‘এখন আমি চাই আদালতের এ রায় দ্রুত কার্যকর হউক’।

সিলেটে চুরির অপবাদে পিটিয়ে শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যার দায়ে প্রধান আসামি কামরুল ইসলামসহ চারজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।  

সৌদি আরবে আটক কামরুল ইসলাম (২৪) সিলেট মহানগরীর জালালাবাদ থানার কুমারগাঁও এলাকার শেখপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য তিনজন হলেন- চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়না (৪৫), তাজ উদ্দিন বাদল (২৮) ও পলাতক জাকির হোসেন পাভেল।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ময়না চৌকিদারকে অপর দু’টি ধারায় দেওয়া পৃথক পৃথকভাবে সাত বছর ও এক বছর করে কারাদণ্ডাদেশও বহাল রয়েছে।

হত্যাকাণ্ডের ভিডিওচিত্র ধারণকারী নূর মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কমিয়ে ছয়মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত ১০ জনের মধ্যে অন্য ৯ জনকে বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজার পুরোটাই বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

বহাল রয়েছে কামরুলের দুই ভাই মুহিত আলম ও আলী হায়দার ওরফে আলী এবং পলাতক আসামি শামীম আহমদের সাত বছর করে কারাদণ্ড এবং অন্য দুই আসামি আয়াজ আলী ও দুলালের এক বছর করে কারাদণ্ডের রায়ও।

দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে দশ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে ৩ মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত, যা বহাল রেখেছেন উচ্চ আদালত।

১৩ আসামির মধ্যে ৩ জনকে দেওয়া খালাসও বহাল রয়েছে। ফলে অপরাধ সন্দেহজনকভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন ফিরোজ মিয়া, আজমত আলী ও রুহুল আমিন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৭
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।