প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে গণভবনে তার গত ৭ থেকে ১০ এপ্রিলের ভারত সফর নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করছিলেন। সেখানে এক প্রশ্নের জবাবেই ওই কথা বলেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে দেওয়া সংবর্ধনায় ভারতের সাবেক উপরাষ্ট্রপতি, বিজেপির উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি এলকে আদভানি ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব নিরসনে শেখ হাসিনার মধ্যস্ততার প্রস্তাব দেন। সে বিষয়েই প্রশ্নটি আসে সাংবাদিক সম্মেলনে। এ দায়িত্ব পালনে তার আগ্রহ কতটুকু? সে প্রশ্নে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে সরকারে এসে তিনি তিন-দেশীয় সরকার প্রধানদের নিয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন। তা কিছুটা ফল এনেছিলো।
এছাড়াও ভারত ও পাকিস্তান যখন পাল্টাপাল্টি পারমানবিক বোমার পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটায় তখনও্ এতদাঞ্চলের সকল দেশই হুমকির মুখে পড়ে। একটা যুদ্ধ যুদ্ধ পরিস্থিতি যখন তৈরি হয়, তখনও জাতিসংঘ মহাসচিবের সাথে শেখ হাসিনা কখা বলেন। এই তথ্য জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তিনি তখন জাতিসংঘ মহাসচিবকে এই প্রস্তান দেন যে, তিনি ব্যক্তিগত কিছু উদ্যোগ নিতে চান।
সে উদ্যোগ নিয়ে সেবার তিনি পরপর ভারত ও পাকিস্তান সফর করেন এবং তার মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধংদেহি ভাবটা কমে আসে।
শেখ হাসিনা বলেন, সে কারণেই হয়তো এলকে আদভানি তার প্রস্তাবটি দিয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিবেশি দেশের মধ্যে সমস্যা থাকবে, কিন্তু যুদ্ধংদেহি থাকা মোটেই উচিত নয়।
বাংলাদেশ সময় ১৮১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৭
এমএমকে