বুধবার (১২ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২টা ২০ মিনিটের দিকে তার মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তিনটি গাড়ি মুন্সীগঞ্জ অতিক্রম করে মাওয়া ঘাটে পৌঁছে। এরপর কুমিল্লা নামক ফেরিতে করে পদ্মা নদী পার হচ্ছে মরদেহবাহী গাড়িবহর।
সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলার দায়ে রাত ১০ টায় গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে তার ফাঁসি কার্যকর হয়।
২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হযরত শাহজালাল (র.) এর মাজারে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী ও সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। এতে নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ তিনজন।
মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল এই মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে মুফতি আব্দুল হান্নান, জঙ্গি শরীফ শাহেদুল আলম বিপুল ও রিপনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য দু’জনের মধ্যে জঙ্গি শরীফ শাহেদুল আলম বিপুলের কার্যকর হয়েছে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে ‘মুফতি হান্নানের সঙ্গেই। আর একই সময়ে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসিতে ঝোলানো হয় অন্য জঙ্গি দেলোয়ার হোসেন রিপনকে।
বাংলাদেশ সময়: ০২৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৭
আরবি/ওএইচ/এসআই
** কাশিমপুর থেকে কোটালীপাড়ার পথে ‘মুফতি’ হান্নানের মরদেহ