ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সময় বাঁচায় চৌরাস্তার কাঁচাবাজার

অন্তু মুজাহিদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৪২ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৭
সময় বাঁচায় চৌরাস্তার কাঁচাবাজার সময় বাঁচায় চৌরাস্তার কাঁচাবাজার- ছবি- দিপু মালাকার

কেরানীগঞ্জ থেকে: এখানকার চাকরিজীবী ও ব্যস্ত মানুষদের একমাত্র ভরসা চৌরাস্তার কাঁচাবাজার। এমনকি নারীরাও সহজেই করতে পারেন  কেনাকাটা। বলতে গেলে হাতের নাগালে মাছ ও নানাবিধ টাটকা শাক-সবজি পাওয়া যায় এ বাজারে। 

শনিবার (১৩ মে) কেরানীগঞ্জের মুসলিমাবাদের দিকে যাওয়ার পথে দেখা যায় রাস্তার ধারে চলছে বেচাবিক্রি। চৌরাস্তার বাজারটির নাম নারকেলবাগ কাঁচাবাজার।

ভোর থেকে শুরু হয়ে বেলা ১২টা পর্যন্ত চলে এখানকার বেচাবিক্রি।  

রাস্তার ধারে গড়ে ওঠা এ বাজারটিতে ভ্যানে করে দু’জন ব্যবসায়ী শাকসবজি বিক্রি করছেন। আরো রয়েছেন তিনজন মাছ ব্যবসায়ী। যারা রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে মাছ এনে এখানে বিক্রি করছেন।  

সবজি ব্যবসায়ী নয়ন বাংলানিউজকে জানান, তিনি দুই মাস ধরে এখানে সবজি বিক্রি করছেন। বেচাবিক্রিও ভালো। যারা সময় স্বল্পতার কারণে বড় বাজারে যেতে পারেন না তারা এখানে কেনাকাটা করেন।  

তিনি বলেন, আমরা এখানে টাটকা সবজি বিক্রি করি। তবে যতক্ষণ মাছ আছে ততক্ষণ চলে সবজি বিক্রি। মাছ শেষ হয়ে গেলে সবজি বেচাও বন্ধ হয়ে যায়।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাজ্জাদ হুসাইন বলেন, বড় বাজার দূরে হওয়ায় সপ্তাহে এক বা দু’দিন যাওয়া পড়ে। বাসার কাছে এ বাজার থাকায় সুবিধা হয়েছে। টুকিটাকি কেনাকাটা করতে পারি। তাছাড়া সবজির দাম বড় বাজার থেকে খুব একটা বেশি নয়। সময় বাঁচায় চৌরাস্তার কাঁচাবাজার- ছবি- দিপু মালাকারসবজির ভ্যান থেকে মরিচ আলু কেনার পর ঢেঁড়শ বাছাই করছিলেন সেবিকা দেবী। কথা বলে জানা গেলো, সেবিকা দেবীর বাড়ির দুয়ারেই এ বাজার। তিনি বলেন, এ বাজার ছোট হলেও এখানে সহজেই আসা যায়। এটা না থাকলে পেঁয়াজ বা মরিচ কিনতে হলে বড় বাজার যেতে হতো।  

আশপাশের হোটেলের প্রয়োজনীয় সবজি ও মাছের যোগান দেয় নারকেলবাগের এ ‘মিনি বাজার’।  

পাঙ্গাস ও ছোট মাছ নিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় বসে আছেন সোলেমান। তিনি জানান, এই বাজার ভোর থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত থাকে। বেচাবিক্রি কোনোদিন বেশি হয় আবার কোনোদিন কম। সবমিলিয়ে ভালোয় চলছে নারকেলবাগের কাঁচাবাজার।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৪২ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৭
এএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।