ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শুল্ক গোয়েন্দার জিজ্ঞাসাবাদে দিলদার ও ভাইদের হাতাহাতি!

শেখ জাহিদুজ্জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩০ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৭
শুল্ক গোয়েন্দার জিজ্ঞাসাবাদে দিলদার ও ভাইদের হাতাহাতি! দিলদার আহমেদ (মাঝে) ও অপর দুই ভাই গুলজার ও আজাদ/ ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদল

ঢাকা: আপন জুয়েলার্সের জব্দকৃত সোনা ও ডায়মন্ডের বিষয়ে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরে জিজ্ঞাসাবাদের সময় ঝগড়া-হাতাহাতিতে জড়িয়েছেন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ ও তার দুই ভাই। 

এসময় একে অন্যের শার্টের কলার ধরে টানাটানি, ধাক্কাধাক্কি করেন। জিজ্ঞাসাবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ রাজধানীর বনানীতে একটি হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় জড়ানোর জের ধরে এই কথা কাটাকাটি ও  হাতাহাতি হয়।  

বুধবার (১৭মে) শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরে আপন জুয়েলার্সের মালিক তিন ভাই দিলদার আহমেদ, গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদকে তলব ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

সাফাত আহমেদের ধর্ষণ মামলার তদন্তের জের ধরেই বেরিয়ে আসে আপন জুয়েলার্সে অবৈধ সোনা ও ডায়মন্ড রাখার বিষয়টি। তারই ধারবাহিকতায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলো।  

সূত্রটি জানিয়েছে, দুপুর ১২টার পর থেকে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ, গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড.মইনুল খান। এসময় অতিরিক্ত মহাপরিচালক একেএম নুরুল হুদা আজাদ ও যুগ্ম পরিচালক শফিউর রহমান তার সঙ্গে ছিলেন।  

সূত্র জানায়, এক এক করে তাদের প্রশ্ন করা হলে কোনটিরই সদুত্তর দিতে পারছিলেন না তিন ভাই। এক পর্যায়ে নিজেদের মধ্যেই শুরু হয় বাক বিতণ্ডা। উত্তপ্ত উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি ও কলার টানাটানিতে রূপ নেয়।  

অপর দুই ভাই তাদের ব্যবসার বর্তমান পরিস্থিতির জন্য বারবার দিলদারকে দায়ী করছিলেন। তার ও তার ছেলে সাফাতের জন্য সবাইকে পথে বসতে হচ্ছে- এমন কথা বললে দিলদার তার প্রতিবাদ করেন। আর তা নিয়ে ঝগড়া বেঁধে যায় বলে জানিয়েছে সূত্রটি।  

এমন পরিস্থিতিতে শুল্ক গোয়েন্দার কর্মকর্তারা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন।  
 
সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে যতোটা না সময় আপন জুয়েলার্সের বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে তারচেয়ে বেশি কথা হয়েছে দিলদার ও তার ছেলে সাফাতকে নিয়ে।  

শুধু সাফাতই নয় দিলদারের কৃতকর্মের বিষয় নিয়েও প্রশ্ন তোলেন দুই ভাই, জানায় সূত্রটি।  

এ সময় শুল্ক গোয়েন্দার কর্মকর্তারা কয়েকবার অপ্রাসঙ্গিক কোনো বিষয় টেনে না আনার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হয়নি। বরং প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরের মধ্যে ঘুরে ফিরেই আসে দিলদার আর সাফাত প্রসঙ্গ।
 
দিলদারের এক ভাই দিলদারের দিকে আঙ্গুল উঁচু করে বলেন, তোর (দিলদার) ছেলের জন্য আজ আমাদের অপদস্ত হতে হচ্ছে। ব্যবসা ক্ষেত্রে সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তোর কুলাঙ্গার ছেলের জন্য আমাদের অনেক নিচে নামতে হচ্ছে।  

এভাবে জিজ্ঞাসাবাদের বেশির ভাগ সময়ই চলে গেছে তিন ভাইয়ের ঝগড়ায়, জানায় সূত্রটি।  

তবে জিজ্ঞাসাবাদে আপন জুয়েলার্সের মালিক পক্ষ জব্দকৃত স্বর্ণ ও ডায়মন্ডের কোনও কাগজপত্র দেখাতে ব্যার্থ হন। আগামী ২৩ মে পরবর্তী জিজ্ঞাবাদের জন্য শুল্ক ও গোয়েন্দা দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে তিন ভাইকে।  
 
বাংলাদেশ সময়:২২২৩ ঘণ্টা, মে ১৭,২০১৭
এসজে/এমএমকে

**জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের সত্যতা স্বীকার নাঈম আশরাফের

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।