ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জেলাওয়ারি সরাসরি নিয়োগের কোটা নির্ধারণ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৫ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০১৭
জেলাওয়ারি সরাসরি নিয়োগের কোটা নির্ধারণ জেলাওয়ারি সরাসরি নিয়োগের কোটা নির্ধারণ

ঢাকা: সরকারি-স্বায়ত্বশাসিত-আধা স্বায়ত্বশাসিত এবং বিভিন্ন করপোরেশন ও দফতরের সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে জেলার সরবশেষ জনসংখ্যার ভিত্তিতে জেলাওয়ারি পদ বিতরণের শতকরা হার নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। 

২০১১ সালের আদমশুমারির প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর বিভিন্ন জেলার জনসংখ্যার হ্রাস-বৃদ্ধি এবং নতুন দু’টি বিভাগ সৃষ্টি হওয়ায় জেলাওয়ারি পদ বিতরণের শতকরা হার সংশোধন করে বুধবার (০৭ জুন) প্রকাশ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর আগে ২০০১ সালের আদমশুমারির প্রতিবেদন অনুযায়ী জেলাওয়ারি শতকরা হার জারি করা হয়েছিল।

 
 
আদমশুমারি অনুযায়ী, ঢাকা বিভাগে তিন কোটি ৬৪ লাখ ৩৩ হাজার ৫০৫ জনের মধ্যে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে ২৫.২৯ শতাংশ নিয়োগ দিতে বলেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর মাঝে ঢাকা জেলায় ৮.৩৬, গাজীপুরে ২.৩৬, মানিকগঞ্জে ০.৯৭, মুন্সিগঞ্জে ১.০০, নারায়ণগঞ্জে ২.০৫, নরসিংদীতে ১.৫৪, ফরিদপুরে ১.৩৩, গোপালগঞ্জে ০.৮১, মাদারীপুরে ০.৮১, রাজবাড়ীতে ০.৭৩, শরিয়তপুরে ০.৮০, কিশোরগঞ্জে ২.০২ ও টাঙ্গাইলে ২.৫০ শতাংশ।  
 
নবগঠিত ময়মনসিংহ বিভাগে ১ কোটি ৯ লাখ ৯০ হাজার ৯১৩ জনসংখ্যার জন্য ৭.৬৩ শতাংশ নিয়োগ দিতে হবে। এর মধ্যে ময়মনসিংহে ৩.৫৫, জামালপুরে ১.৫৯, নেত্রকোনায় ১.৫৫ ও শেরপুরে ০.৯৪ শতাংশ।  
 
চট্টগ্রাম বিভাগের ২ কোটি ৮৪ লাখ ২৩ হাজার ১৯ জন জনসংখ্যার জন্য ১৯.৭৩ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করেছে সরকার। এর মধ্যে চট্টগ্রামে ৫.২৯, বান্দরবানে ০.২৭, কক্সাবাজারে ১.৫৯, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ায় ১.৯৭, চাঁদপুরে ১.৬৮, কুমিল্লায় ৩.৭৪, খাগড়াছড়িতে ০.৪৩, ফেনীতে ১.০০, লক্ষ্মীপুরে ১.২০, নোয়াখালীতে ২.১৬ ও রাঙামাটিতে ০.৪১ শতাংশ।
 
রাজশাহী বিভাগের ১ কোটি ৮৪ লাখ ৮৪ হাজার ৮৫৮ জনসংখ্যার জন্য ১২.৮৩ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজশাহীতে ১.৮০, জয়পুরহাটে ০.৬৩, পাবনায় ১.৭৫, সিরাজগঞ্জে ২.১৫, নওগাঁয় ১.৮১, নাটোরে ১.১৮, চাপাইনবাবগঞ্জে ১.১৪ ও বগুড়ায় ২.৩৬ শতাংশ।
 
রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় ১ কোটি ৫৭ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৮ জনসংখ্যার জন্য ১০.৯৬ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রংপুরে ২.০০, দিনাজপুরে ২.০৮, গাইবান্ধায় ১.৬৫, কুড়িগ্রামে ১.৪৪, লালমনিরহাটে ০.৮৭, নীলফামারীতে ১.২৭, পঞ্চগড়ে ০.৬৯ ও ঠাকুরগাঁওয়ে ০.৯৭ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করতে হবে।  
 
খুলনা বিভাগে ১ কোটি ৫৬ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৯ জনের মধ্যে ১০.৮৯ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করতে হবে। এর মধ্যে খুলনায় ১.৬১, যশোরে ১.৯২, ঝিনাইদহে ১.২৩, মগুরায় ০.৬৪, নড়াইলে ০.৫০, বাগেরহাটে ১.০২, সাতক্ষীরায় ১.৩৮, চুয়াডাঙ্গায় ০.৭৮, কুষ্টিয়ায় ১.৩৫ ও মেহেরপুরে ০.৪৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের কথা বলেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।  
      
বরিশালে ৮৩ লাখ ২৫ হাজার ৬৬৬ জনের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে ৫.৭৮ শতাংশ কোটা। এর মধ্যে বরিমালে ১.৬১, ভোলায় ১.২৩, ঝালকাঠিতে গ.৪৭, পিরোজপুরে ০.৭৭, বরগুনায় ০.৬২ ও পটুয়াখালীতে ১.০৭ শতাংশ কোটা রয়েছে।  
 
সিলেট বিভাগে কোটা রয়েছে ৯৯ লাখ ১০ হাজার ২১৯ জনের মধ্যে ৬.৮৮ শতাংশ। এর মধ্যে সিলেটে ২.৩৮, মৌলভীবাজারে ১.৩৩, সুনামগঞ্জে ১.৭১ ও হবিগঞ্জে ১.৪৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।  
 
সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং অধীন সকল নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে নতুন আদেশ প্রতিপালনের নির্দেশ দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।  
 
বাংলাদেশ সময়: ০২৫৬ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৭
এমআইএইচ/এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।