পাশাপাশি সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী, উপ-প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার এবং বিচার ও অভিবাসন মন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে তার।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) স্থানীয় সময় বেলা ১২টায় রয়েল প্যালেসে রাজার সঙ্গে এই সৌজন্য সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়।
পরে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিফিংয়ে তারা জানান, সুইডেনের রাজা বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়া নিয়ে খুবই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
রাজা গুস্তাফ বলেন, সুইডেন বাংলাদেশে শুধু বিনিয়োগ না উন্নয়ন সহযোগিতায়ও কাজ করে যাবে।
পররাষ্ট্র সচিব সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশ যে দারিদ্র বিমোচনে রোল মডেল হয়েছে, নারীর ক্ষমতায়ন, মা ও শিশু মৃত্যু হ্রাসসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশের অগ্রগতির বিষয়গুলো নিয়ে রাজার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আলোচনা হয়েছে।
রাজার সঙ্গে বৈঠকের পর বেলা পৌনে একটার দিকে সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী স্তেফান লোফভেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সুইডেনের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে দুই দেশের সর্ম্পক ও পারস্পরিক সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র চিহ্নিত হয়।
সেখানে সুইডেনের প্রধানমন্ত্রীর দেয়া মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেন শেখ হাসিনা।
ভোজের পর সুইডেনের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সুইডেনের উপপ্রধানমন্ত্রী ইসাবেলা লোভিন বৈঠকে মিলিত হন।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) স্থানীয় সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুইডিশ পার্লামেন্ট পরিদর্শনের মধ্যে সফররত প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি শুরু হয়।
সুইডেনের পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী ও ভারপ্রাপ্ত স্পিকার তোবিয়াস বিলস্ট্রম বৈঠকে মিলিত হন।
স্পিকার প্রধানমন্ত্রীকে লাইব্রেরি রুম, মেইন হল, কমিটি রুমসহ সংসদের বিভিন্ন অংশ ঘুরিয়ে দেখান।
পররাষ্ট্র সচিব জানান, সুইডেনের সংসদে সরকারি দল ও বিরোধী দলের জন্য আলাদা কোন বেঞ্চ নেই। অঞ্চল ভিত্তিক ভাগ আছে। সেখানে সরকারি বেসরকারি দল এক সঙ্গে বসে। এটা একটা অন্যন্য বিষয়।
তিনি বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার দুই দেশের সংসদের ঐতিহ্য নিয়ে আলোচনা করেন।
পরে গ্র্যান্ড হোটেলে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সঙ্গে সুইডেনের বিচার ও অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী মর্গান জোহানসন সাক্ষাত করেন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাংলাদেশের আরো নাগরিক বৈধভাবে যাতে সুইডেন যেতে পারে সে ব্যাপারে তারা সব সময় আন্তরিক।
সফরের শেষ দিন আগামীকাল শুক্রবার (১৬ জুন) সকাল ৯টায় সফরকালীন আবাসস্থল গ্র্যান্ড হোটেলের মিটিং রুমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করবেন সুইডেনের রিটেইলার ব্রান্ড এইচঅ্যান্ডএম এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কার্ল জোহান পারসন ।
এর পর সেখানে ইনভেস্টরের প্রেসিডেন্ট জ্যাকব ওয়ালেনবার্গ ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মারকাস ওয়ালেনবার্গ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করবেন।
সকাল ১০টায় হোটেলের কনফারেন্স রুমে ব্যবসায়ীদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
বেলা ১১টায় এবিবি সুইডেন এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জোহান সোডারস্ট্রম হোটেলের মিটিং রুমে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করার কথা রয়েছে।
স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে বৃটিশ এয়ারওয়েজের বিএ-৭৭৫ ফ্লাইটে লন্ডনের উদ্দেশে স্টকহোম ছাড়বেন প্রধানমন্ত্রী। লন্ডনে যাত্রাবিরতির পর স্থানীয় সময় বিকেল ৬টা ২০মিনিটের দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-০০২ ভিভিআইপি ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে তার।
শনিবার (১৭ জুন) সকাল এগারটার দিকে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকায় পৌঁছানোর কথা।
সুইডেনের সঙ্গে গভীর ও বিস্তৃত সর্ম্পকের দুয়ার খুলেছে
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৫ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৭
এমইউএম/এমএমকে