মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বাংলানিউজকে জানান, সোমবার ভোরে তিনি বাসা থেকে ওষুধ কেনার জন্য বের হন। বাসার খানিকটা দূরেই তিনজন লোক তাকে ধরে মাইক্রোবাসে তুলে তারপর তার চোখ বেঁধে ফেলে।
এরপর ঐ লোকগুলো মজহারকে হুমকি ও গালাগালি দেয়। তারা বলে, ‘সাবধান মাইরা ফালামু। ’
এতে মজহার ভয় পেয়ে তাদেরকে বলেন, ‘আমি কিছু টাকা পয়সা দেই, আমাকে ছেড়ে দেন। ’ এর জবাবে তারা বলে, ‘ঠিক আছে তাহলে দুই-এক কোটি টাকা দে। ’ তখন মজহার বলেন, ‘এতো টাকা দিতে পারবো না। ’ একপর্যায়ে তাদেরকে ৩৫ লাখ টাকা দিতে রাজি হন মজহার।
মজহার আদালতে বলেন, আমি নিজেই মুক্তি পাওয়ার জন্য তাদের টাকার অফার করি। এরপর টাকার জন্য বাসায় ফোন করে তাড়া দিতে থাকি। ’
সূত্র জানায়, কোন পথ ধরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এসব তিনি বলতে পারেননি। পরে তারা টাকা না নিয়েই গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়।
ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম মোহা. আহসান হাবিবের খাস কামরায় মঙ্গলবার বিকেলে তার জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। একই আদালতে ‘নিজ জিম্মায়’ বাসায় যাওয়ার আবেদনেরও শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
শুনানিতে বিচারক মোহা. আহসান হাবিব ফরহাদ মজহারকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনি কি নিজ জিম্মায় যেতে চান? ‘হ্যাঁ’ বোধক সম্মতি জানালে আদালত ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় আবেদন মঞ্জুর করেন।
ডিএমপি’র তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার বাংলানিউজকে বলেন, তিনি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি যেহেতু ভিকটিম, তার দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করেই মামলার তদন্তকাজ এগিয়ে নেওয়া হবে।
সোমবার (০৩ জুলাই) ভোরে নিজের বাড়ি থেকে ফরহাদ মজহার ওষুধ কিনতে গেলে কয়েকজন তাকে তুলে নিয়ে যায় বলে পুলিশের কাছে দাবি করেন তিনি। এ নিয়ে আদাবর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। ঐদিন রাতে আদাবর থানা পরিবারের অভিযোগটিকে মামলা (মামলা নং-৪) হিসেবে লিপিবদ্ধ করে।
পরিবারের অভিযোগের পর ফোন নাম্বার ট্রেস করে বিকেল থেকে তাকে উদ্ধারে খুলনায় অভিযান শুরু হয়। রাতে যশোরে ঢাকাগামী একটি বাস থেকে ফরহাদ মজহারকে উদ্ধার করে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৭
পিএম/আরআই