মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সকালে তাকে ঢামেকের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
বার্ন ইউনিটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
ডা. সামন্ত শিশুটির এই অবস্থা দেখে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, খুব কষ্ট লাগে যখন দেখি গ্রামাঞ্চলে এসব রোগীদের অবহেলা করা হয়। সকালে মেয়েটিকে আমাদের কাছে নিয়ে আসা হয়েছে। আরও আগে নিয়ে আসলে ভালো হতো। তাকে ভর্তি করা হয়েছে। শিশুটিকে পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় সব চিকিৎসা দেওয়া হবে।
ডা. সামন্ত আরও বলেন, আমরা ৮ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছি। বুধবার (১২ জুলাই) মেডিকেল বোর্ড বসে শিশুটির চিকিৎসার জন্য কি কি করা দরকার সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শিশুটি বিরল রোগে আক্রান্ত না ক্যান্সারজনিত রোগে আক্রান্ত তা বিভিন্ন পরীক্ষার পরে জানা যাবে।
সাতক্ষীরার সদর উপজেলার কামারবায়সা গ্রামের মুদি দোকানি ইব্রাহীম হোসেনের মেয়ে মুক্তা। ইব্রাহীমের দুই জমজ মেয়ে ও এক ছেলে। তার দুই যমজ মেয়ের মধ্যে হীরা বড় ও মুক্তা ছোট। তাদের বয়স ১২ বছর। আর ছোট ছেলে আল-আমিনের বয়স এক বছর তিন মাস।
মুক্তার বাবা ইব্রাহীম জানান, জন্মের পরে দেড় বছর ভালোই ছিল হীরা ও মুক্তা। এরপর মুক্তার ডান হাতে ছোট মার্বেলের মতো গোটা দেখা দেয়। এরপর থেকে তা বাড়তে থাকে। মুক্তার হাতটি দেখলে মনে হয় গাছের বাকলের মতো ছেয়ে গেছে। আক্রান্ত হাতটি তার দেহের সব অঙ্গের চেয়েও ভারী হয়ে উঠেছে। যন্ত্রণায় মুক্তা সব সময় অস্থির হয়ে থাকে।
ইব্রাহীম আরও বলেন, ডাক্তার জানিয়েছে, মুক্তার সারাদেহে রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। তার শরীর শুকিয়ে যাচ্ছে। শুধু হাতের ওজন বাড়ছে। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে দেখানো হয়েছে মুক্তাকে। কিন্তু কেউ সঠিক চিকিৎসা দিতে পারেনি। রোগ শুধু বেড়েই চলেছে। টাকার অভাবে গত ছয় মাস যাবৎ চিকিৎসাবিহীন অবস্থায় মুক্তাকে বাড়িতে রেখে কেবল ড্রেসিং করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৭
এজেডএস/আরআর