বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। জানা যায়, শিক্ষক আকিব ও লতার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া প্রেম চলছে।
শনিবার (০৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় বিভাগে আকিবের অফিস কক্ষে (৩০৪৯) লতাসহ অবস্থান করার খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে দু’জনকে দেখে চিৎকার শুরু করেন তার স্ত্রী।
পরে মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যানকে খবর দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ ঘটনার মীমাংসা করার চেষ্টা করা হয়।
বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটিতে আকিব ও লতা দেশের বাইরে ঘুরতে যেতেন। বিভাগের অফিসেও একসঙ্গে অনেকক্ষণ ধরে সময় কাটাতেন তারা। তাদের এ সর্ম্পকের কথা বিভাগের অনেক শিক্ষকও জানতেন বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আকিব উল হক তার মোবাইল ফোনে কল রিসিভ করলেও কোনো কথা বলেননি। পরবর্তীতে কল দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
আর মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে উম্মে কাউসার লতা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।
এ বিষয়ে মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নাসরীন ওয়াদুদ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে আকিবকে বিষয়টি বুঝিয়েছি। তিনি যেন ওই শিক্ষিকা থেকে নিজেকে ফিরিয়ে নেন। কারণ তার একটি বাচ্চাও রয়েছে।
‘কিন্তু তিনি আমাদের কথা শুনেননি। বিষয়টি নিয়ে আমরা বিভাগের সিঅ্যান্ডডি কমিটির মিটিং ডেকেছি। সেখান থেকে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবো। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৭
এসকেবি/এমএ