রোববার (০৬ আগস্ট) রাতে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীদের চকবাজার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ গৃহীত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম অর রশিদ তালুকদার।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি।
অভিযোগের কপি থেকে জানা যায়, রাত ৮টার দিকে ভুক্তভোগী ছাত্রী, তার স্বামী ও ছোট বোন পলাশী মোড়ে মাছের বাজারে মাছ কিনতে যায়। সেই সময় মিজানুর রহমান পিকুলও মাছের বাজারে ছিলেন। এক পর্যায়ে হাঁটতে গিয়ে পিকুলের সঙ্গে ছাত্রীর স্বামীর ধাক্কা লাগে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পিকুল তার স্বামীকে গালি-গালাজ করে মারধর করতে উদ্ধত হয়। পরে সেই ছাত্রী ও তার ছোট বোন প্রতিবাদ করলে পিকুল তাদের উপরও চড়াও হয় এবং পিকুল তার অনুসারীদের ডেকে এনে তাদের শ্লীলতাহানি করে এবং তার স্বামীকে মেরে রক্তাক্ত করে।
পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক রাসেল আহমেদ তাদের উদ্ধার করার চেষ্টা করে এবং আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।
এদিকে লাঞ্ছিতের শিকার দুই ছাত্রীর ভাই ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি পদে রয়েছে বলে জানা গেছে।
এ দিকে ঘটনার পর থেকে পিকুল তার মোবাইল ফোন বন্ধ রেখেছেন।
জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ঘটনাটা শুনেছি। সেখানে কি হয়েছে তা জানাতে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছি। আমরা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তদন্ত করছি।
বাংলাদেশ সময়: ০২৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৭
এসকেবি/এসএইচ