দোকনদার সুবির সরকার চায়ের জন্য পানি আয়রনমুক্ত করছেন। একটি বড় লোহার স্ট্যান্ডের উপর দুই ধাপে দু’টি মাটির পাত্র থেকে ফোঁটা ফোঁটা পানি পড়ছে।
কিন্তু কিভাবে কি? রাজধানী ঢাকায় তো ফিল্টারের মাধ্যমেই পানি বিশুদ্ধ করা হয়। এটা আবার কি পদ্ধতি?
জানা গেলো সুবির সরকারের কাছেই। তিনি জানান, বালু, খোয়া, কয়লার মিশ্রণ তৈরি করে দুই ধাপে রাখা মাটির পাত্রে একটি প্লাস্টিকের ব্যাগের উপর সেগুলো মিলিয়ে দেওয়া হয়। পাত্র দু’টির তলার দিকে একটি করে ফুটো করে দেওয়া আছে। এরপর পাত্রের আকার অনুযায়ী এরমধ্যে পানি দেওয়া হয়।
প্রথম ধাপে পানি খানিকটা আয়রনমুক্ত হয়ে দ্বিতীয় ধাপে রাখা পাত্রে পড়ে। এরপর একই পদ্ধতির মধ্য দিয়ে তৃতীয় পাত্রে যে পানিটা সংগ্রহ করা হয় তা আনেকটা আয়রনমুক্ত বলে জানান সুবির।
পরে এ পানি কেটলিতে নিয়ে গরম করে তা দিয়ে চা তৈরি করা হয়। পানি আয়রনমুক্তের এ যন্ত্র নিজেই তৈরি করছেন জানিয়ে সুবির বলেন, একবারে ২০-৩০ লিটার পানি আয়রনমুক্ত করা যায়। এতে আধঘণ্টা সময় লাগে।
তবে এটি তৈরির আগে এর উপকরণ বালু, খোয়া, কয়লা পানিতে ধুয়ে পরিষ্কার করে নেওয়া হয়। এ পদ্ধতিতে পানি আয়রনমুক্ত করা হয় ঠিকই, তবে এটি নিয়মিত পরিচর্যা না করলে আয়রন জমে উল্টো এর মুখ বন্ধ হয়ে যায়। প্রতি মাসে অন্তত দু’বার যন্ত্রটি পরিষ্কার করার কথা বলেন তিনি।
সুবির জানান, আয়রনমুক্ত পানি গরম করে চা বানানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। আর গরম না করা পানি দিয়ে দোকানের চায়ের কাপ-প্লেট পরিষ্কার করা হয়।
তবে যে টিউবয়েলের পানি আয়রনমুক্ত করা হচ্ছে পাশেই তার অবস্থা খুবই নাজুক। পানি পড়ে এর শরীরে এতো আয়রন জমেছে যে, টিউবয়েলটি নিজেই আয়রনে জর্জরিত। তাই টিউবয়েলটিই সংস্কারের প্রয়োজন বলে জানান সুবির।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৭
জেডএস/এসএইচ