বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি। এ দিন রাতে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলের সম্মানে একই স্থানে নৈশভোজের আয়োজন করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
ব্রিটিশ কনজারভেটিভ পার্টির একটি প্রতিনিধি দল গত দুদিন কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের অবস্থা সরজমিনে দেখে এসেছেন। সংবাদ সম্মেলনে অ্যান মেইন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এমিপ পল স্কলি ও উইল কুইন্স।
অ্যান মেইন বলেন, রোহিঙ্গারা যদি নিজেরা নিরাপদ বোধ করে তাহলেই মিয়ানমারে ফেরত যেতে পারে।
মিয়ানমারে যা চলছে তা নিশ্চিতভাবে গণহত্যা বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা জানি না কতজনকে হত্যা করা হয়েছে। তবে যারা বাংলাদশে পালিয়ে এসেছেন তাদের বয়ান মতে যা হয়েছে তা অবশ্যই ভয়ংকর!
প্রেস ব্রিফিংয়ে পল স্কলি বলেন, মিয়ানমার সীমান্তে মর্মান্তিক পরিবেশ বিরাজ করছে। আমরা সেখানকার অবস্থা দেখে খুবই মর্মাহত। এটি মানবসৃষ্ট সংকট যা মিয়ানমার সৃষ্টি করেছে। মূলত মিয়ানমার সেনাবাহিনীই এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
অপর এমপি উইল কুইন্স বলেন, এটা আমার প্রথম বাংলাদেশ সফর। আমি বর্ণনা করতে পারব না কী বীভৎস ঘটনা ঘটেছে। আমরা কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প দুদিন পরিদর্শনে গিয়েছি। এক নারী তার দুঃখের কথা আমাদের জানিয়েছেন। তার ছেলে ও স্বামীকে তার সামনে হত্যা করা হয়েছে। তার বাড়ি সম্পূর্ণ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। জীবন বাঁচাতে তিনি পাঁচদিন হেঁটে বাংলাদেশে এসেছেন। কিন্তু তিনি এ দেশে আসতে চাননি। তিনি এখন তার বাকি সন্তানদের নিয়ে নিজ দেশ বার্মায় ফিরে যেতে চান। কিন্তু সীমান্তে মিয়ানমার আর্মি ল্যান্ড মাইন বিছিয়ে রেখেছে। তারা হত্যা করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৭/আপডেট: ২০৪৭ ঘণ্টা
কেজেড/এমজেএফ