রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সহিংসতার পর সেখানকার পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে এসেছে।
সফরে কিও তিন্ত সোয়ে সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠক করবেন।
এদিকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছয়দফা প্রস্তাব তুলে ধরেছেন। বলা হয়েছে ‘সেফ জোন’র কথা।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিকভাবেও চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ বিভিন্ন দেশের নেতারা ইতোমধ্যে এ বিষয়ে কথা বলেছেন।
জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইএমও) বলছে, গত ২৪ আগস্ট রাত থেকে সহিংসতার শিকার হয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা ৫ লাখের বেশি। সহিংসতায় প্রাণ গেছে তিন হাজারের বেশি মানুষের। এটিকে আন্তর্জাতিকভাবে ‘গণহত্যা’ বলা হচ্ছে; জাতিসংঘের ভাষায় ‘জাতিগত নিধন’।
সম্প্রতি নিউইয়র্কে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে যে আলোচনা হয়েছে, তারই ধারাবাহিকতায় রোহিঙ্গাদের ফেরানোর ওপর জোর দেবে বাংলাদেশ। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে মিয়ানমারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা থং তুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে আলোচনা করেন। ওই আলোচনায় সু চি’র প্রতিনিধি ঢাকায় পাঠানো নিয়ে কথা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১৭
কেজেড/এসএইচ