দেখা গেছে, অফারগুলো সীমিত সময়ের জন্য কিন্তু এই অফারের জেরে বেড়ে যাচ্ছে ভাড়া। শুরুতে যে ভাড়া নিয়ে মোটরসাইকেল রাইড শেয়ারিংয়ের যাত্রা শুরু হয়েছিলো, এখন ভাড়া তার থেকে প্রায় দ্বিগুণ।
রাইড শেয়ারিং একটি অ্যাপস ‘মুভ’। ফেসবুকে ব্যাপক বুস্টিং করেও তাদের বাইকার সংখ্যা নগণ্য। রাইডারদের জন্য তারা ৫০ টি রাইডে শতকরা ২০ ভাগ ডিসকাউন্ট দিচ্ছে। তাদের ঘোষণায় তারা বলছে যে, তারা আগের চেয়ে বড় আকারে আসতে চাচ্ছে। এ কারণে রাইডারদের এ সুবিধা। নতুন চালু হওয়া অ্যাপস ‘বাহন’-এর অবস্থাও একই। চালুর অপেক্ষায় রয়েছে ‘ইজিয়ার’ ‘গো-টু’ সহ আরও দু’একটি। কিন্তু ভাড়ার বিষয়টি সরকার নির্ধারণ না করায় নৈরাজ্য শুরু হয়ে গেছে ইতোমধ্যেই।
রাইড শেয়ারিং নীতিমালায় ভাড়া নিয়ে কোন শৃঙ্খলা আনা হয়নি । খসড়ায় ছিলো ভাড়া ‘ডিরেগুলেটেড’ থাকবে। সবশেষ ঠিক হয়,বিআরটিএর অনুমোদন দেওয়া ট্যাক্সি সার্ভিসের ভাড়ার বেশি হতে পারবে না রাইড শেয়ারিংয়ের ভাড়া।
রাইড শেয়ারিং বিভিন্ন অ্যাপস পর্যবেক্ষণ করেন এমন একজন মুরাদ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ‘রাইড শেয়ার ধারণা ঢাকায় নতুন বিষয়। এটি ক্রমেই বাড়ছে। এখনও এ নীতিমালা প্রক্রিয়াধীন। যতটা জানা যাচ্ছে নীতিমালায় ভাড়ার বিষয়টি উপেক্ষিত। যে কারণে ভাড়া বাড়তে থাকবে। কারণ ভাড়া বাড়লেই তাতে নিজেদের লাভ দেখেন বাইকার বা চালকরা। আবার রাইডাররা দেখেন কোন অ্যাপসে সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত বাইক বা কার পাওয়া যাচ্ছে। ’
ঢাকায় প্রথম রাইড শেয়ারিং শুরু করে শেয়ার এ মোটরসাইকেল (স্যাম)। তখন অল্প টাকায় যেকোন একজনের মোটরসাইকেলে চেপে আরেকজন গন্তব্যে যেতে পারতো। পরে ‘পাঠাও’ এসে একলাফে এই ভাড়া বাড়িয়ে ফেলে। শুরুর ভাড়া থেকে স্যামও ভাড়া বাড়িয়ে নিয়েছে। স্যাম অ্যাপের নানা ফিচার আর নতুন ভাড়ার আকর্ষণে অনেক বাইকার অ্যাপটি ব্যবহার করছেন বলে-স্যাম তাদের ফেসবুক পেইজে জানাচ্ছে।
এদিকে উবারও মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ারিং নিয়ে আসছে শিগগিরই। ভাড়ার তথ্য এখনও তারা অফিসিয়ালি না দিলেও তাদের রেজিস্ট্রেশন বুথ থেকে যে তথ্য দেয়া হচ্ছে, তাতে দেখা যাচ্ছে বেইস ফেয়ার হবে ৩০ টাকা, প্রতি কিলো ১২ টাকা, প্রতি মিনিট ১ টাকা। বাইকারের প্রাপ্ত টাকা থেকে ২৫ ভাগ কমিশন কেটে নেবে উবারমটো।
পাঠাও-এর বেইস ফেয়ার ২৫ টাকা, প্রতি কিলোমিটার ১২ টাকা, প্রতি মিনিট ০.৫ টাকা , বাইকারদের কাছ থেকে ২০ ভাগ কমিশন নেয় পাঠাও। নতুন বাইকারদের থেকে প্রথম ১০টি রাইডে কমিশন নেয় না তবে একাদশতম থেকে বিংশতম রাইডে ১০ ভাগ কমিশন নেয়। একই ফেয়ার দিয়েছে নতুন আসা অ্যাপ বাহনও।
স্যাম-এ কোন বেস ফেয়ার নেই। প্রথম ৩ কিলোমিটার ৬০ টাকা, এরপর প্রতি কিলোমিটার ১২ টাকা, রাস্তায় প্রতি মিনিট ০.৫ টাকা। বাইকারদের প্রাপ্ত ভাড়া থেকে ১৫ ভাগ কেটে নেয় স্যাম। তবে তাদের প্রথম ১০ টি রাইডে কোন কমিশন কেটে নেয় না স্যাম। এ হিসেবে এখন পর্যন্ত স্যাম বাইকারদের বেশি সুবিধা দিচ্ছে। রাইডারদের জন্য ছেড়েছে কয়েকটি প্রমো।
রাইড শেয়ার নীতিমালা বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল মালেক বাংলানিউজকে বলেন, ‘নীতিমালার ড্রাফট চূড়ান্ত হয়নি। হওয়ার পর এটি মন্ত্রিসভার বৈঠকে তোলা হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ০২১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৭
এসএ/আরআই