শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টার দিকে দম্পতির ছেলে সুমন কান্তি বিশ্বাস নেত্রকোনা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে জানান।
তিনি জানান, নিহতদের ছেলে সুমনের দায়ের করা মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতদের ব্যবহৃত দু'টি মুঠোফোনসহ আনুমানিক ৩/৪ লাখ টাকার মালামাল খোয়া গেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয় যোগ করেন এসআই আল আমিন। এরআগে এদিন দুপুর দেড়টায় তাদের নিজ ঘর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত দম্পতি হলেন মিহির কান্তি বিশ্বাস (৭০) ও তার স্ত্রী তুলিকা বিশ্বাস (৫০)। মিহির সদর উপজেলার কৃষ্ণগোবিন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। তার স্ত্রী তুলিকা সমাজসেবা কার্যালয়ের মাঠ কর্মী ছিলেন।
ওই দম্পতিদের গৃহপরিচারিকা জয়া রাণী বাংলানিউজকে জানান, বুধবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে তিনি ওই বাসায় কাজ শেষে বেরিয়ে যান। শুক্রবার দুপুরে তিনি যখন ওই বাসায় কাজ করতে আসেন তখন বাসার গেটে তালা দেওয়া ছিলো। এসময় ঘরের ভেতর থেকে দুর্গন্ধ বের হলে বিষয়টি তিনি স্থানীয়দের জানান। খবর পেয়ে নাগড়া এলাকা থেকে মিহির বিশ্বাসের ছোট ভাই সমীর বিশ্বাস এসে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে রান্না ঘরের মেঝেতে বৌদি তুলিকার মরদেহ ও বেডরুমে খাটের ওপর ভাই মিহিরের মরদেহ দেখতে পান।
তুলিকার ভাই মৃত্যুঞ্জয় চন্দ বাংলানিউজকে জানান, ওই বাসায় শুধু তার বোন তুলিকা ও ভগ্নিপতি মিহির থাকতেন। তাদের সুমন নামে এক ছেলে ও সুমি নামে এক মেয়ে রয়েছে। তারা ঢাকায় থাকেন। ছেলেটি সর্বশেষ দুর্গাপূজায় এসেছিলেন। সমস্ত ঘরটি এলোমেলো ও আলমিরার তালা ভাঙা অবস্থায় পাওয়া গেছে।
এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) জয়দেব চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) এসএম আশরাফুল আলম, মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন (সদর সার্কেল), থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমীর তৈমুর ইলী।
জেলা পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, যারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৭
এএটি/