এদিন বেলা সোয়া ১১টায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত আনুষ্ঠানিকভাবে স্থলবন্দরের উদ্বোধন করবেন। অর্থমন্ত্রী ছাড়াও উদ্বোধক হিসেবে থাকবেন নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান এমপি।
স্থানীয় সংসদ ইমরান আহমদ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান, নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুস সামাদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
এই স্থলবন্দরটি হওয়ায় দু’দেশের বাণিজ্য আরো সম্প্রসারিত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। একই সঙ্গে সরকারের রাজস্ব আয় আগের চেয়ে বাড়বে বলেও মনে করছেন তারা।
২০১৫ সালের ৮ মে তামাবিল স্থলবন্দরের নির্মাণকাজ শুরু হয়। চলিত বছরের আগস্টে উদ্বোধন হওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন কারণে পিছিয়ে যায় এর উদ্বোধন।
স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ জানান, ২০০২ সালে তামাবিল শুল্ক স্টেশনকে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দরে রূপান্তরিত করার ঘোষণা দেয়া হয়। বন্দরে উন্নীত করার কার্যক্রমের মধ্যে ২৩ দশমিক ৭২ একর ভূমি অধিগ্রহণ, এক লাখ ৯ হাজার ৩৩০ ঘনমিটার ভূমি উন্নয়ন, দুই হাজার ৫০০ মিটার সীমানাপ্রাচীর তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া ৮ হাজার ১৮০ বর্গমিটার অভ্যন্তরীণ সড়ক নির্মাণ, ২৭ হাজার বর্গমিটার উন্মুক্ত স্টাক ইয়ার্ড নির্মাণ, ৭৪৪ বর্গমিটার ওয়্যারহাউস নির্মাণ, এক হাজার ৩৪৯ বর্গ মিটার অফিস, ডরমেটরি ও ব্যারাক ভবন নির্মাণ, দুই হাজার মিটার ড্রেন, দুটি ওয়েব্রিজ ও পাঁচটি ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। সংগ্রহ করা হয়েছে দুটি ১০০ মেট্রিক টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ওয়েইং স্কেল।
এব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য ইমরান আহমদ বলেন, সরকারের আন্তরিক চেষ্টায় তামাবিলকে একটি আধুনিক স্থলবন্দর হিসাবে গড়ে তোলা হয়েছে। শুধু তামাবিল স্থলবন্দরই নয়, তামাবিলের পাশে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে মহাপরিকল্পনাও এগিয়ে চলছে।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) তপন কুমার চক্রবর্তী বলেন, তামাবিল স্থলবন্দর উদ্বোধন হলে ভারতের মেঘালয়সহ ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, আসাম ও ভূটানের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে।
বাংলাদেশ সময়:০৫০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৭
এনইউ/এসআই/জেএম