ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পোপের আগমনে সেজেছে ঢাকা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৭
পোপের আগমনে সেজেছে ঢাকা রাজধানীর সড়কে শোভা পাচ্ছে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও পোপের ছবি/শোয়েব মিথুন

ঢাকা: আতিথিয়তায় বাংলাদেশের সুনাম বিশ্বজোড়া। বিদেশি কোনো অতিথি এলে বরাবরই তাকে ব্যাপক আয়োজনে স্বাগত জানানো হয়। যেহেতু এবার সারাবিশ্বের ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বীদের ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস আসছেন, তাই আয়োজনটাও ভিন্ন।
 

তিনদিনের সফরে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) ঢাকায় আসছেন পোপ ফ্রান্সিস। তার আগমন উপলক্ষে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বঙ্গভবন পর্যন্ত রাস্তায় শোভা পাচ্ছে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও পোপের ছবি।

আবার কোথাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবির পাশে পোপের ছবি দিয়ে তাকে স্বাগত জানানো হয়েছে।
 
পোপের দীর্ঘায়ু কামনা করে ঢাকার রাস্তায় টাঙানো হয়েছে বিলবোর্ড। বাংলাদেশ-ভ্যাটিকান বন্ধুত্ব দীর্ঘজীবী হোক, বাংলাদেশে পোপের সুস্বাগতম এমন বিভিন্ন ধরনের লেখা শোভা পাচ্ছে নগরিতে।  
 
বুধবার (২৯ নভেম্বর) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে মিন্টুরোড মোড়ে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পোপের ছবিযুক্ত ব্যানার লাগানো হচ্ছে। এরকম ৫১টি স্থানে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছবি দেওয়া হয়েছে বলে জানান এ কাজের সমন্বকারী আর্টিস্ট সাধু বাবুল।
 
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে রাজধানীজুড়ে এ সাজসজ্জা করা হয়েছে। এদিকে পোপ গুলিস্তান হয়ে বঙ্গভবনে প্রবেশ করবেন, তাই গুলিস্তানের ফুটপাত হকারমুক্ত করা হয়েছে। এমনকি হকারদের গাট্টি, বেডিংপত্রও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
 
নভেম্বরের শেষদিকে এ খ্রিস্টান ধর্মগুরুর দক্ষিণ এশিয়ার দুই দেশে আসার কথা জানানো হয়েছিলো আগেই। চূড়ান্ত সফরসূচিতে জানানো হয় ২৭ নভেম্বর মিয়ানমার আসবেন পোপ ফ্রান্সিস। সেখান থেকে ৩০ নভেম্বর ঢাকা আসবেন তিনি। ঘোষিত সূচি অনুযায়ী, নভেম্বরের ৩০ তারিখ থেকে ডিসেম্বরের ২ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করবেন পোপ ফ্রান্সিস।

এদিকে মিয়ানমার সফরকালে দেওয়া বক্তব্যে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি একবারও উচ্চারণ করেননি, তবে ঢাকায় সফরকালে একদল রোহিঙ্গাকে পোপের সঙ্গে দেখা করতে আনা হচ্ছে। তিনি রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর পরিচালিত নিষ্ঠুরতার বর্ণনা সরাসরি তাদের কাছ থেকে শুনবেন।
 
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন পোপ। তারপর রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এদিন অন্যান্য কূটনীতিকদের সঙ্গেও সৌজন্য বিনিময় করবেন পোপ ফ্রান্সিস।

সফর সূচি অনুযায়ী, ১ ডিসেম্বর (শুক্রবার) এক গণমিছিলে অংশ নেবেন পোপ। ওইদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে তার। একইদিনে বিশপসহ অন্যান্য ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

সফরের শেষ দিন ২ ডিসেম্বর (শনিবার) মাদার তেরেসা পরিচালিত মিশনারিগুলো পরিদর্শন করবেন পোপ। অংশ নেবেন সেমিনারে। সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ছাড়বেন পোপ ফ্রান্সিস।

বাংলাদেশ সময়: ০৬১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৭
এসএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।