বিশেষভাবে সাজানো একটি রিকশায় চড়ে রাজধানীর রমনায় আর্চ বিশপ হাউজের মাঠে আয়োজিত সভায় আসেন তিনি। সেখানে বিকেল ৫টায় আয়োজিত আন্তঃধর্মীয় সভায় বক্তব্য দেন তিনি।
আরও পড়ুন>>
** পোপের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
কাকরাইলের আর্চ বিশপ হাউজে রিকশাটি আগে থেকেই রাখা হয়। রিকশাটি নিয়ে ভ্যাটিকান থেকে আসা নিরাপত্তাকর্মীদের মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টি হয়। বেশ আগ্রহ নিয়ে রিকশাটি সম্পর্কে জানতে চান তারা।
এর আগে ক্যাথিড্রাল পরিদর্শন করেন পোপ ফ্রান্সিস। এর আগে মিয়ানমার সফর শেষে নেপিদো থেকে সরাসরি বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান পোপ। এ সময় বিমানবন্দরে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
বিমানবন্দরে পোপ ফ্রান্সিসকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। পরে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান তিনি। সেখান থেকে যান রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে।
পরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন পোপ ফ্রান্সিস। এদিন অন্যান্য কূটনীতিকদের সঙ্গেও কুশল বিনিময় করেন তিনি।
পরে পোপের সম্মানে আয়োজিত রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তিনি।
সফর সূচি অনুযায়ী, ১ ডিসেম্বর (শুক্রবার) সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খ্রিস্টধর্মীয় উপাসনা ও যাজক অভিষেক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পোপ। বিকেলে ভ্যাটিকান দূতাবাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
সফরের শেষ দিন ২ ডিসেম্বর (শনিবার) মাদার তেরেসা ভবন পরিদর্শন করবেন পোপ। পরিদর্শন করবেন বিভিন্ন মিশনারিও। বৈঠকে বসবেন খ্রিস্টধর্মের নেতাদের সঙ্গে। বিকেলে তিনি নটরডেম কলেজে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলবেন যুব সম্প্রদায়ের সঙ্গে।
সফর শেষে ওইদিন সন্ধ্যায় রোমের উদ্দেশে বাংলাদেশ ছাড়বেন পোপ ফ্রান্সিস।
গতবছর প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশের ক্যাথলিক বিশপ আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানালে পোপ বছরের শেষ দিকে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২৮ আগস্ট এই ধর্মগুরুর ঢাকা সফরের সূচি ঘোষণা হয়।
এর আগে ১৯৮৬ সালে পোপ জন পল এবং ১৯৭০ সালে পোপ ষষ্ঠ পল বাংলাদেশ সফর করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৭
কেজেড/এমএ/