বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ৯টার পর প্রথমে ওয়াহিদুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন কমিশনের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন। কার্যালয়ে প্রবেশকালে ওয়াহিদুলকে বেশ বিমর্ষ দেখা যায়।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) এ দু’জনসহ ৯ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে চিঠি পাঠায় রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি দমন প্রতিষ্ঠানটি।
ওয়াহিদুল ও ফজলুর ছাড়া বাকি ৮ জন হলেন- ব্যাংকটির সাবেক এমডি শামিম আহমেদ চৌধুরী, হেড অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউট অ্যান্ড ট্রেজারি আবু হেনা মোস্তফা কামাল, হেড অব কর্পোরেট মাহফুজ উল ইসলাম, হেড অব অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট (ওবিইউ) মোহাম্মদ লোকমান, ওবিইউ এর কর্মকর্তা মো. আরিফ নেয়াজ, ব্যাংক কোম্পানি সেক্রেটারি মাহদেব সরকার সুমন এবং প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তা এম এন আজিম।
গত ১০ ডিসেম্বর তদন্ত সংশ্লিষ্ট তথ্য চেয়ে ব্যাংকটির এমডির কাছে চিঠি দেন দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল। তারপর ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর ওয়াহিদুল হক ফজলুর রহমান, শামিম আহমেদ এবং মোস্তফা কামালকে দুদকে হাজির হতে বলা হয়। কিন্তু তারা হাজির না হয়ে দুদকে উপস্থিত হতে সময়ের আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে আবার তাদের হাজির হতে চিঠি পাঠানো হয় বুধবার।
ওই চিঠিতে ওয়াহিদুল হক ও ফজলুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবার সকালে ডাকা হয়। আর শামিম আহমেদ ও মোস্তফা কামালকে ৩১ ডিসেম্বর হাজির হতে বলা হয়। বাকিদের আগামী ২ জানুয়ারি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে।
দুদক সূত্র জানিয়েছে, সিঙ্গাপুরে একটি অফশোর প্রতিষ্ঠান তৈরি করে ৪ কোটি ২৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার বা ৩৪০ কোটি টাকা পাচার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবি ব্যাংকের অফশোর ইউনিটের মাধ্যমে হয়েছে এই বিপুল অংকের অর্থপাচার হয়েছে বিধায় সাবেক ওই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এ তদন্তে নেমেছে দুদক।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৭/আপডেট ১১২২ ঘণ্টা
এসজে/এইচএ/