ঢাকা থেকে প্লেনযোগে প্রধানমন্ত্রী যে বিমানবন্দরে নামবেন, সেখান থেকে জনসভাস্থল পর্যন্ত আশপাশের সড়কের দু’ধারে তোরণ-ফেস্টুনে রাঙিয়ে ফেলা হয়েছে। দু’ধারে উড়ছে লাল-সবুজের তারকা খচিত দলীয় পতাকা।
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর যশোর জেলা শহরে দলীয় জনসভা করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। যদিও তিন বছর আগে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় নির্বাচনের পরে অভয়নগরের মালোপাড়ায় নির্যাতিতদের দেখতে ওই মাসের ২৩ জানুয়ারি যশোরে আসেন প্রধানমন্ত্রী। সেদিন অভয়নগর উপজেলা শহরের একটি কলেজমাঠে আয়োজিত জনসভায় রাখেন তিনি।
বর্তমান সরকারের চলতি মেয়াদের শেষ মুহূর্তের এ জনসভাকে ঘিরে প্রস্তুতিতে কোনো অংশেই কমতি নেই। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে ১০ দিন আগে থেকেই আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো প্রস্তুতি সভা, পথসভা, মতবিনিময় ও মিছিলসহ ব্যাপক শোডাউন করে। কোনো কোনো উপজেলায় অবমূল্যায়িত হয়ে ঝিমিয়ে থাকা নেতাকর্মীরা এখন দারুণ উজ্জীবিত প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রী যশোরে এসেই বিমানবাহিনীর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। পরে দুপুরে যশোরের ঐতিহাসিক ঈদগাহ ময়দানের জনসভায় ভাষণ দেবেন। এ সফরে তিনি উদ্বোধন ও ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন বেশ কিছু উন্নয়ন কার্যক্রমের।
জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। আর তৃণমূলের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ উৎসুক হয়ে অপেক্ষায় আছেন প্রধানমন্ত্রীর আগমনের মাহেন্দ্র ক্ষণের।
যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে অনার্স পড়ুয়া জেসমিন সুলতানা বাংলানিউজকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রত্যেকদিন টিভিতে দেখি, তবে কখনো সামনাসামনি দেখার সুযোগ হয়নি। এবার সরাসরি দেখতে পাবো, ভাবতেই ভালো লাগছে। অন্য বান্ধবীরা মিলে জনসভা ময়দানে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। ’
যশোরের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর এ আগমনে তাদের মধ্যে আনন্দানুভূতি কাজ করছে। কারণ, সবাই মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী যশোরবাসীর জন্য বেশ কিছু উন্নয়ন-উপহার নিয়ে আসছেন। প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যে কী বলবেন এবং যশোরের উন্নয়নে কোন আকর্ষণীয় উপহার ঘোষণা করেন-এ ব্যাপারেও চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
২০১২ সালের ২০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী যশোর ঈদগাহ মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এসময় তিনি যশোরকে দেশের প্রথম ডিজিটাল জেলা হিসেবে ঘোষণা করেন। সেসময়, পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যশোরে এলে পৌরসভাকে সিটি কর্পোরেশনে উন্নতি করার প্রতিশ্রুতি দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৭
ইউজি/এইচএ/