আন্দোলনরত শিক্ষকদের আমরণ অনশন। ছবি: বাংলানিউজ
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের এমপিওভুক্তের আশ্বাস না দেওয়া পর্যন্ত তারা ঘরে ফিরে যাবেন না বলে জানিয়েছেন নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মাহমুদুন্নবী।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ষষ্ঠ দিনের মতো চলা নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীদের আমরণ অনশনে বাংলানিউজকে তিনি এ কথা বলেন।
গোলাম মাহমুদুন্নবী বলেন, '২০০২ সাল থেকে তিনি খুলনা আইডিয়াল কলেজে চাকরি করছেন।
কিন্তু আজ পযর্ন্ত এমপিওভুক্ত না হওয়ায় তিনি কোনো আর্থিক সুবিধা পাননি। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। পড়ালেখা শেষ করে আলোকিত সমাজ গড়তে এজন্য কি শিক্ষক হয়েছিলাম। এভাবে আর কতোদিন চলবো আমরা। আমরা ভিক্ষা চাই না আমাদের অধিকার চাই। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা পাঁচ হাজার ২৪২টি। এসব প্রতিষ্ঠানে এক দশকেরও বেশি সময় থেকে বিনা বেতনে পাঠদান করছেন এমন শিক্ষকের সংখ্যা প্রায় ৭৫-৮০ হাজার। আমরণ অনশন চলাকালে ছয়দিনে ১১৪জন শিক্ষক অসুস্থ হয়েছেন। এরমধ্যে ঢাকা মেডিকেলে ১৬ জন শিক্ষক ভর্তি আছেন। এছাড়া সর্বশেষ ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ সরকার এক হাজার ৬২৪টি বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজকে এমপিওভুক্ত করে। “তহবিল সংকট” দেখিয়ে তখন বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানকে আর এমপিওভুক্ত করা হয়নি। বাদ পড়া শিক্ষকরা তখন থেকেই বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন। কিন্তু তারা মানবেতর জীবনযাপন করলেও সরকার তাদের দিকে সুদৃষ্টি দিচ্ছে না।
এদিকে, আমরণ অনশনের তৃতীয় দিনের মাথায় মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তখন
এমপিওভুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিজ থেকে তালিকাভুক্তির কাজ করতে পারে না। এজন্য মন্ত্রিসভার অনুমোদন লাগবে।
এ ব্যাপারে তিনি অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও আশ্বস্ত করেন। কিন্তু আন্দোলনকারীরা মন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৮
এসজে/এএটি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।