তীব্র শীতে তিস্তা ও নদী অববাহিকার লোকজন শীতবস্ত্রের অভাবে দুর্ভোগে পড়েছে। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় সামান্য।
নীলফামারীর সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম জানান, সৈয়দপুরে তাপমাত্রা ২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। ডিমলা উপজেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে।
এছাড়া নীলফামারীর ডোমার, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ ও সদর উপজেলার মানুষও কনকনে ঠাণ্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছেন। শৈত্যপ্রবাহের সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। ফলে শহরে লোকজনের চলাচল কমে গেছে। কনকনে ঠাণ্ডার কারণে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীরা দোকানপাট খুলছেন না।
সন্ধ্যার পর চারিদিক কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে। বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরছে। ফলে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে। সড়কের বিভিন্ন মোড়ে জ্বালানো হয়েছে আগুনের কুণ্ডলি।
শীতজনিত রোগে হাসপাতালে রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুরা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৫ ঘণ্টা জানুয়ারি ০৮, ২০১৮
আরআর