রংপুর: মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ফুল সংগ্রহ করতে গিয়ে চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম রুহুল আমিন (৫৫)। তিনি পেশায় একজন সার্ভেয়ার। বিষয়টি জানাজানি হলে অভিযুক্ত পালিয়ে যান।
ঘটনাটি ‘মীমাংসায়’ স্থানীয় প্রভাবশালীরা শিশুটির পরিবারকে চাপ দিচ্ছে বলেও অভিযোগ মিলছে। ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
এলাকাবাসী ও শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা যায়, রহুল আমিনের পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকেন। এ কারণে তিনি বাড়িতে একা থাকেন। শুক্রবার সকালে ফুল তুলতে রুহুল আমিনের বাড়িতে যায় ওই শিক্ষার্থী।
স্বজনদের অভিযোগ, তখন ওই শিক্ষার্থীকে ঘরে ঢুকিয়ে ধর্ষণ করেন রুহুল আমিন। এর মধ্যে তাবলিগ জামাতের মুসল্লিরা নামাজের জন্য দাওয়াতি কাজে ওই বাড়িতে এলে সেই সুযোগে শিশুটি পালিয়ে তার বাড়িতে চলে আসে। অসুস্থ অবস্থায় মা এবং দাদির কাছে সবকিছু খুলে বলে এবং ক্ষত স্থান দেখায়।
পরে অভিযুক্ত রুহুল আমিনের স্বজনরা বিষয়টি কাউকে না জানাতে শিশুটির পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিতে থাকেন এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি না হওয়ার চাপ দেন।
কিন্তু শিশুটি মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে নিজ বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেয় পুলিশ।
এ ঘটনায় যেন মামলা রেকর্ড করা না হয়, সেজন্য অভিযুক্ত রুহুল আমিন স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় শিশুটির পরিবারকে নানা রকম চাপ দিচ্ছেন বলেও খবর মিলেছে।
অভিযোগের বিষযে বক্তব্যের জন্য বিভিন্নভাবে রুহুল আমিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর বাংলানিউজকে বলেন, এ ব্যাপারে একটি মামলা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৫
এইচএ/