শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে হাসপাতালটির টিম লিডার ড. ফাতাহুল লাহাম মোহাম্মদ বাংলানিউজকে জানান, এই হাসপাতালে প্রতিদিন ১০০ এর উপর রোগী দেখা হয়। এদের মধ্যে শতকরা ৬০ শতাংশ রোহিঙ্গা ও ৪০ শতাংশ স্থানীয়দের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়।
২০১৭ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে হাসপাতালটি তার কার্যক্রম শুরু করে। ড. ফাতাহুল লাহাম মোহাম্মদ জানান, এখন পর্যন্ত ১৪০ জন এর উপরে রোগীর অপারেশন করা হয়েছে। এদের মধ্যে ডেলিভারি করা হয়েছে ১৮ জনের। এই ১৮ জনের মধ্যে সিজার করা হয়েছে ১২ জন প্রসূতির। এখানে সম্পূর্ণ ফ্রিতে ওষুধ দেওয়া হয়।
ড. ফাতাহুল লাহাম মোহাম্মদ আরও জানান, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রথমে ক্যাম্পে ডাক্তাররা দেখেন। তারা রেফার্ড করলে রোহিঙ্গাদের এখানে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। তবে তাদের অবশ্যই রেজিস্ট্রেশন কার্ড নিয়ে আসতে হবে। কার্ডধারী রোহিঙ্গাদেরই এখানে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।
রোহিঙ্গাদের চিকিৎসায় কক্সবাজারে ফিল্ড হাসপাতালের নির্মাণকাজ শুরু করেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ মালয়েশিয়া। নির্মাণকাজ শেষ হলে হাসপাতালটিতে ৩ লাখ রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া যাবে।
এর আগে ২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর দু’দিনের সফরে এসে এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে গিয়েছেন মালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী ড. আহমদ জাহিদ হামিদি। এরই পরিপেক্ষিতে সেখানে নির্মাণকাজ শুরু হয়।
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনার জন্য এর আগে মালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পও পরিদর্শন করেন।
মালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী তখন বলেন, রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে বাংলাদেশ যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছে, সেগুলো আমরাও অনুসরণ করছি। সংকট নিরসনে জোরালো ভূমিকা পালন করবে মালয়েশিয়া। মালয়েশিয়াও রোহিঙ্গা সংকটে আক্রান্ত। বর্তমানে সেদেশে ১ লাখ ৬৪ হাজার রোহিঙ্গা রয়েছে।
শনিবার বিকেলে ইউএনডিপির গুডউইল অ্যাম্বাসেডার তান শ্রি মাইকেল ইও ও মালয়েশিয়ার সেনাপ্রধান জেনারেল তান শ্রি রাজা মোহাম্মদ এফানদি বিন রাজা মোহাম্মদ নূর ফিল্ড হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৮
আরআর