ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি): লাইব্রেরির কর্মচারী মোস্তফা আসিফ অর্ণবের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে প্রশাসন। এক ছাত্রীকে হেনস্তার ঘটনা তদন্তে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদ বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর রফিকুল ইসলামকে আহ্বায়ক রেখে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- সহকারী প্রক্টর শেহরীন আমিন ভূঁইয়া ও কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের ডেপুটি লাইব্রেরিয়ান।
তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট মোস্তফা আসিফ অর্ণবের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবে।
সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, তদন্ত কমিটি ঘটনার ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করবে। ভুক্তভোগী, অভিযুক্ত সবার সঙ্গে কথা বলবে এবং প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করতে যা যা করার তা করবে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট অভিযুক্তের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। তদন্ত চলাকালে অভিযুক্ত চাকরিতে থাকতে পারবে না।
এ দিকে সহকারী প্রক্টর রফিকুল ইসলাম বলেছেন, তারা যাবতীয় ঘটনার বিশ্লেষণ করা শুরু করেছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
গতকাল বুধবার (৫ মার্চ) শাহবাগ থেকে ফেরার পথে মোস্তফা আসিফ অর্ণব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে হেনস্তা করেন বলে অভিযোগ ওঠে। ভুক্তভোগী হেনস্তার শিকার হওয়ার পর ঘটনার বিবরণ দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেন। পরে ওই শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করেন। এরপর শাহবাগ থানায় মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, ৫ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে তিনি ও তার বন্ধু পায়ে হেটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যাওয়ার পথে রাজু ভাস্কর্যের সামনে পৌঁছালে মোস্তফা আসিফ বাদীর সামনে এসে তিনি পর্দা করেননি কেন বলে প্রশ্ন করেন। তার ওড়না ঠিক নেই কেন বলাসহ আরও কুরুচিপূর্ণ কথা বলে তাকে যৌনপীড়ন করেন। ওই ছাত্রী তখন প্রক্টরকে কল দিতে চাইলে আসামি দৌড়ে পালিয়ে যান।
মামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার হন অর্ণব। এরপর তার মুক্তির দাবিতে বুধবার মাঝরাতের পর শাহবাগ থানায় জড়ো হন একদল ব্যক্তি, যারা নিজেদের তৌহিদী জনতা বলে দাবি করে।
বৃহস্পতিবার অর্ণবকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. তৌফিক হাসান। আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব জামিন মঞ্জুর করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০২৫
এফএইচ/এমজে