বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের দেশে সড়ক দুর্ঘটনা এবং দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর হার পৃথিবীর অনেক দেশের চেয়ে কম।
তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার কমাতে চালকদের মান বাড়াতে যাত্রী, চালক, মালিক ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে উল্লেখ যোগ্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- এসডিজি-২০৩০ অনুযায়ী পরিকল্পনা নেওয়া, সড়ক নিরাপত্তা উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ, মহাসড়কগুলোর প্রশস্তকরণ, ২২টি মহাসড়কে অটোরিশরা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ, জাতীয় মহাসড়কে ১২১টি দুর্ঘটনা প্রবন এলাকার প্রতিকারমূলক প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় আনা, মহাসড়কে গাড়ির সর্বোচ্চ গতিবেগ ৮০ কিলোমিটার এবং ঢাকাসহ অন্য সিটি করপোরেশন এলাকায় ৪০ কিমি নির্ধারণসহ নানাবিধ প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগ দলীয় আরেক সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খানের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পুলিশ বিভাগের সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য অনুসারে প্রতি ১০ হাজার যানবাহনের মৃত্যুর হার ২০১১ সালে ১৫ দশমিক ১২ শতাংশ, ২০১২ সালে ১৩ দশমিক ৭৬, ২০১৩ সালে ৯ দশমিক ৮৮, ২০১৪ সালে ৯ দশমিক ৬৫, ২০১৫ সালে ৯ দশমিক ৬৫ এবং ২০১৬ সালে ৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ। যা থেকে বোঝা যায় দেশে সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস পেয়েছে।
‘এসডিজি-২০৩০ এবং ইউএস ডিকেড অব একসান ফর রোড সেফটি ২০১১-২০’ এর লক্ষ্য অর্জন অর্থাৎ ২০২০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনার হার ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনতে সড়ক ও জনপদ অধিদফতর বেশ কিছু কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৮
এসএম/জিপি