পটুয়াখালী: রাজধানীর বনশ্রীতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে স্বর্ণ ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৬ জনের মধ্যে দুইজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন - পটুয়াখালীর বাউফলের নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের প্রভাবশালী নেতা আমিনুল ইসলাম (৩৫) ও শ্রমিক দল নেতা সুমন মোল্লা (৩০)।
গ্রেপ্তার আমিনুল ইসলাম বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের নতুন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) এলাকার বাসিন্দা এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য। আর সুমন মোল্লা একই ইউনিয়নের পাশের গ্রাম আয়নাবাজ কালাইয়ার বাসিন্দা। তিনি কালাইয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক দলের সহদপ্তর সম্পাদক।
পুলিশ জানায়, আমিনুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতদলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং একাধিক মামলার আসামি। ২০২৩ সালের একটি বড় ডাকাতি মামলায়ও তিনি গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন। বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে তিনি আইনের চোখ ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করতেন। অপরদিকে, শ্রমিকদল নেতা সুমন মোল্লাও স্থানীয় একটি চক্রের সঙ্গে যুক্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, আমিনুল ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচিত এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তবে তার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিষয়টি ধীরে ধীরে প্রকাশ পাচ্ছে।
বাউফল থানার পরিদর্শক আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমিনুল ইসলাম একজন পেশাদার ডাকাত। রাজনৈতিক পরিচয় তার অপরাধ আড়াল করতে পারেনি। এর আগেও তাকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ’
এদিকে এ খবরে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে, একজন ছাত্রলীগ নেতা এ ধরনের অপরাধে জড়িয়ে থাকার পরও বিষয়টি তার সংগঠনের কেউ জানেন না। শ্রমিক দলের পক্ষ থেকেও সুমনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর বনশ্রী ডি-ব্লক ৭ নম্বর রোডের ২০ নম্বর বাড়ির সামনে আনোয়ার হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে তার কাছ থেকে স্বর্ণালংকার ও এক লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় ডাকাতদল। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমিনুল ও সুমন ছাড়া বাকি ৪ জন হলেন হলেন- মো. কাউছার (৩১), মো. ফরহাদ (৬৪), মো. খলিলুর রহমান (৫০) ও দুলাল চৌধুরী (৪৩) ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২৫
এসএএইচ