সকালে নেপালের বাংলাদেশ দূতাবাসে নিহতদের প্রথম নামাজে জানাজা শেষে ত্রিভুবন বিমানবন্দরে মরদেহগুলো ১০টার দিকে আনা হয়। এরপর মরদেহ ঢাকায় নিতে দুপুর ১২টার দিকে নামে বিমানবাহিনীর কার্গো এয়ারক্রাফট দু’টি।
স্বজনরা আগেই ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে রেখেছিলেন। ফলে আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর দুপুর ১টা ২৭ মিনিটের দিকে উড়ে যায় ইউএস-বাংলার বিশেষ ফ্লাইট। এরপর ঢাকার পথে মরদেহ নিয়ে দুপুর আড়াইটার দিকে উড়াল দেয় বিমানবাহিনীর কার্গো।
তিনজনের মরদেহ শনাক্ত না হওয়ায় তাদের মরদেহ আপাতত নেওয়া হচ্ছে না। পিয়াস রায়, নজরুল ইসলাম ও আলিফুজ্জামানের মরদেহ এখনো ত্রিভুবন ইউনিভার্সিটি টিচিং কলেজেই রয়েছে।
রাষ্ট্রদূত মাশরি বিনতে শামস জানিয়েছেন, নজরুল ইসলামের মরদেহ আগামী দু'দিনের মধ্যে পাঠানো হবে। আর ডিএনএ টেস্টের পর দ্রুততার সঙ্গেই পাঠানো হবে বাকি দু’জনকে।
এদিকে কবীর হোসেন নামে আহত এক ব্যক্তি স্বজনদের সঙ্গে চলে যাওয়ায় নেপালে দুর্ঘটনাকবলিত হয়ে চিকিৎসারত আর কেউ নেই।
চীনা, নেপালিদের মরদেহও চিহ্নিতের পর হস্তান্তর করা হয়েছে।
২৩ নিহত বাংলাদেশি হলেন- উম্মে সালমা, আঁখি মনি, বেগম নুরুন্নাহার ও শারমিন আক্তার, নাজিয়া আফরিন ও এফ এইচ প্রিয়ক, -বিলকিস আরা, আখতারা বেগম, মো. রকিবুল হাসান, মো. হাসান ইমাম, মিনহাজ বিন নাসির, তামাররা প্রিয়ন্ময়ী, মো. মতিউর রহমান, এস এম মাহমুদুর রহমান, তাহারা তানভীন শশী রেজা, অনিরুদ্ধ জামান, রফিক উজ জামান এবং পাইলট আবিদ সুলতান, কো-পাইলট পৃথুলা রশিদ, খাজা সাইফুল্লাহ, ফয়সাল, সানজিদা ও নুরুজ্জামান।
বিমান বাহিনী কার্গো প্লেন যাত্রীদের ঢাকায় নিয়ে গেলে আর্মি স্টেডিয়ামে আরেকটি জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে মরদেহ।
গত ১২ মার্চ মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনায় আহত হন ১০ বাংলাদেশি। এদের মধ্যে ডা. রেজওয়ানুল হক শাওন ও ইমরানা কবির হাসি নামে দু’জনকে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঢাকায় আনা হয়েছে শাহীন ব্যাপারি, মেহেদী হাসান, তার স্ত্রী কামরুন নাহার স্বর্ণা, আলমুন নাহার অ্যানি, শেহরিন ও শেখ রাশেদ রুবায়েতকে। বাকি দু’জনের মধ্যে ইয়াকুব আলীকে দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে। কবির হোসেন নামে অপর যাত্রীকে আনা হবে সোমবার।
****ত্রিভুবনে মরদেহ, বিমানবাহিনীর প্লেনের অপেক্ষা
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৮
ইইউডি/এএ