সোমবার (১৯ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি ঢামেক হাসপাতালে পৌঁছায়। এর আগে ইউএস-বাংলার তত্ত্বাবধানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি০৭২ ফ্লাইটে তাকে ঢাকায় আনা হয়।
এ নিয়ে প্লেন দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ৭ বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন।
নেপালের স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টায় তিনিসহ অন্য যাত্রীদের বহনকারী ইউএস-বাংলার ফ্লাইটি ছেড়ে আসে। শাহজালাল বিমানবন্দরে নামার পর তাকে সরাসরি ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আহত কবির হোসেনের স্ত্রী হেনা কবির বাংলানিউজকে জানান, বিমানবন্দর থেকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে স্বামীর সঙ্গে তিনিও ঢামেক হাসপাতালে এসেছেন। তাদের ২ ছেলে এক মেয়ে রয়েছে। দুর্ঘটনার পর দিনই বড় ছেলে আল হেলাল ইবনে কবির নেপাল ছুটে যান।
তাদের বাড়ি মাদারীপুর শিবচর উপজেলার বাজিদপুর গ্রামে। কবির হোসেন পেশায় কসমেটিক ব্যবসায়ী। ব্যবসায়িক কাজেই তিনি নেপাল গিয়েছিলেন।
এসময় নেপালের চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে হেনা কবির জানান, তার দুই পায় ভেঙে গেছে। তিনি মাথায় ও বুকে আঘাত পেয়েছেন।
অন্যদিকে নেপালে প্লেন দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আলমুন নাহার অ্যানি হাসপাতাল ছেড়েছেন। সোমবার বিকেলে বার্ন ইউনিট থেকে গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের শ্রীপুরের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।
বেসরকারি ইউএস-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মেজর (অব.) ডা. মাহাবুবুল হক বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এছাড়া দুর্ঘটনায় আহত অপর তিন বাংলাদেশির মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য দুইজনকে সিঙ্গাপুর ও একজনকে দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে। সবার চিকিৎসার ব্যয় ভার বহন করছে ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৮
এজেডএস/ওএইচ/