কিন্তু বিধি বাম, প্রিয়ককে ফিরতে হয়েছে বাক্সবন্দি হয়েছে, সঙ্গে কলিজার টুকরো মেয়ে তামাররা। প্রাণে বেঁচে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন অ্যানিও।
সোমবার (১৯ মার্চ) রাত ৮টার দিকে শ্রীপুরের নগরহাওলা গ্রামের বাড়িতে পৌঁছেছে প্রিয়ক-তামাররার মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি। এ সময় প্রিয়জনদের কান্নায় শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয় পুরো নগরহাওলা গ্রামজুড়ে।
গ্রামবাসী ছাড়াও পরিচিত-স্বজনরা প্রিয়ক-তামাররাকে শেষ বিদায় জানাতে এসেছেন। নিহত প্রিয়কের মামাতো ভাই সানি আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, রাত ৮টার দিকে প্রিয়ক ও তার মেয়ে তামাররা প্রিয়ন্ময়ীর মরদেহ নিয়ে বাড়ি পৌঁছে অ্যাম্বুলেন্সটি।
মঙ্গলবার (২০ মার্চ) সকালে তৃতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের মরদেহ দাফন করা হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে সোমবার বিকেলে কাঠমান্ডু থেকে বিমান বাহিনীর বিশেষ প্লেনে করে নিহত ২৩জনের সঙ্গে প্রিয়ক-তামাররার মরদেহও দেশে আনা হয়।
এরপর আর্মি স্টেডিয়ামে মরদেহে শ্রদ্ধা জানানো ও দ্বিতীয় জানাজা শেষে তা স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে একইদিন বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন প্রিয়কের স্ত্রী আলমুন নাহার অ্যানি। প্রথমে তাকে মেয়ে ও স্বামীর মৃত্যু সংবাদ দেওয়া হয়নি।
বাড়িতে নেওয়ার পর অ্যানিকে খবরটি দেওয়া হয়। কিন্তু কিছুতেই যেনো তা বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। বারবার মেয়ে ও স্বামীকে দেখতে চাইছিলেন তিনি। সেখানেও এক হৃদয় বিধারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
গত ২৬ মার্চ অ্যানিসহ তাদের আত্মীয় মেহেদী হাসান ও সৈয়দা কামরুন নাহার স্বর্ণাকে ঢাকায় আনা হয়। ১২ মার্চ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিএস-২১১ ফ্লাইটে নেপাল গিয়েছিলেন তারা; যেটি ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়ে যায়।
এতে ৭১ আরোহীর মধ্যে ৫০জনের মৃত্যু হয়। এরমধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি। এ পর্যন্ত শনাক্ত হওয়া ২৩জনের মরদেহ দেশে এসেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, ১৯ মার্চ, ২০১৮।
আরএস/এমএ