মঙ্গলবার (২০ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে গুলশান-২ নম্বরের ৮৬ নম্বর সড়কের ১ নম্বর বাড়িতে সকাল থেকে চালানো ওই অভিযান স্থগিত করেন রাজউকের পরিচালক অলিউর রহমান।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ‘নকশা ছাড়া বাড়ি করায় আমরা এই বাড়িটি উচ্ছেদে অভিযান শুরু করি।
এক প্রশ্নের উত্তরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অলিউর বলেন, ‘এটা কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযান নয়, এটা নকশা ছাড়া বাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান।
আরও পড়ুন>>
** গুলশানে এ কে আজাদের বাড়িতে রাজউকের উচ্ছেদ অভিযান
তবে বুধবার আবারও অভিযান শুরু করবেন কিনা-এমন প্রশ্নে তিনি কিছুই বলেননি।
এর আগে সকালে অভিযান শুরুর সময় অলিউর রহমান বলেন, রাজউকের অনুমোদিত নকশা ছাড়াই এ বাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছে। ক’দিন আগে রাজউক কর্মকর্তা আদিলুর রহমান এসেছিলেন, তখন তারা (বাড়ির লোকজন) একটা স্ট্রাকচারাল নকশা দেখান কিন্তু তা রাজউক অনুমোদিত নয়।
এদিকে রাজউক ও বাড়ির কর্তৃপক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে এমনটা হয়েছে বলে জানিয়েছেনে এ কে আজাদের শ্যালক শোয়েবুল ইসলাম।
তিনি জানান, আমরা বাড়িটির কাগজপত্র দেখিয়েছি তারপর রাজউকের লোকজন চলে গেছে। আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন জিনিস আমাদের বুঝিয়ে দিয়ে গেছে তারা।
‘তারা (রাজউক) চলে গেছে, আর আসবে না। ’ স্থগিতের বিষয়টি জানালে শোয়েবুল বলেন, ‘দেখেন কাল আসে কিনা?’
বাংলানিউজকে শোয়েব জানান, বাড়িটি ১৯৬৪ সালে নির্মাণ করা হয়। দেড় কাঠা জায়গায় ভবনটি হলেও পুরো জমি ২০ কাঠার। প্রথমে এখানে একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ছিল। আজাদ সাহেবও এটি কিনেছেন প্রায় ২০ বছর আগে। এরপর থেকে তিনি এখানেই বসবাস করছেন।
‘কিন্তু হঠাৎ করে কোনো নোটিশ ছাড়াই বাড়ি ভাঙার অভিযান শুরু করে রাজউক। আমরা বাড়িটির নির্মাণের সময়ের অর্থাৎ পাকিস্তান আমলের একটি নকশা দেখিয়েছি। তখন তো রাজউক ছিল না। এটা একটা ভুল বোঝাবুঝির কারণে এমনটা ঘটেছে। ’
অভিযানে দ্বিতল ওই বাড়ির সামনের দেয়াল, বারান্দা ও একটি ব্যালকনিসহ বিভিন্ন অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। এ সময় ঘরের ব্যবহৃত ফ্রিজ, খাটসহ আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সামনের খোলা জায়গায় রাখা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৮
এসএম/এমএ/