সেখানে তাকে অভ্যর্থনা জানান বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সবুজ কলি সেন। এরপর শান্তিনিকেতনের রবীন্দ্র ভবনে তাকে স্বাগত জানান নরেন্দ্র মোদী।
**দু’দিনের সফরে কলকাতা গেলেন প্রধানমন্ত্রী
সকালে দু’দিনের সরকারি সফরে বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে কলকাতায় নেতাজী সুবাস চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। এরপর সেখান থেকে শেখ হাসিনা হেলিকপ্টারে কলকাতা থেকে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার উত্তরে বীরভূম জেলার বোলপুর শান্তিনিকেতনে পৌঁছান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সফরে শান্তিনিকেতনে নবনির্মিত ‘বাংলাদেশ ভবনের’ উদ্বোধন করবেন। অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি উপস্থিত থাকবেন।
এ ভবনে নির্মিত হয়েছে আধুনিক থিয়েটার, প্রদর্শনী কক্ষ ও বিশাল লাইব্রেরি। সেই লাইব্রেরিতে রয়েছে সাহিত্য, সংস্কৃতি, ইতিহাস, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাস এবং বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক সম্পর্কিত গ্রন্থ।
এছাড়া ভবনের প্রবেশ দ্বারের দুই প্রান্তে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরাল স্থাপন করা হয়েছে।
ভবন উদ্বোধনের পর এরপর শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
এখান থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কলকাতা ফিরে এসে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি পরিদর্শন করবেন। সন্ধ্যায় হোটেল তাজ বেঙ্গলে কলকাতা চেম্বার নেতারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
শনিবার (২৬ মে) প্রধানমন্ত্রী আসানসোলে যাবেন। সেখানে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ সমাবর্তনে শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক ডি-লিট ডিগ্রি প্রদান করবে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাষণ দেবেন। পরে মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে স্বর্ণপদক তুলে দেবেন।
অনুষ্ঠানে পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ও শিক্ষামন্ত্রী বক্তৃতা করবেন। এরপর তিনি কলকাতায় ফিরে নেতাজী সুবাস বসু জাদুঘর পরিদর্শন করবেন। প্রধানমন্ত্রী শনিবার রাতে দেশে ফিরবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৮
এসকে/আরআর