ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মধ্যপাড়া খনিতে আবারও পাথর উত্তোলন বন্ধ

উপজেলা করসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৪ ঘণ্টা, জুন ২, ২০১৮
মধ্যপাড়া খনিতে আবারও পাথর উত্তোলন বন্ধ মধ্যপাড়া পাথর খনি (ফাইল ফটো)

পার্বতীপুর (দিনাজপুর): দিনাজপুরের পার্বতীপুরে মধ্যপাড়া খনি থেকে আবারও পাথর উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জার্মানীয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি)।

শনিবার (২ জুন) সকালে পাথর উত্তোলন বন্ধ করে করে দেয় প্রতিষ্ঠানটি। এর আগেও গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর জিটিসি পাথর উত্তোলনসহ সবধরনের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলো।

খনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে জিটিসি’র তীব্র মতবিরোধের কারণে বারবার এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।

সূত্র জানায়, মধ্যপাড়া খনির উৎপাদন ঠিকাদার জিটিসি’র সঙ্গে ২০১৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর চুক্তি সাক্ষরিত হয়। চুক্তিতে উল্লেখ থাকে, জিটিসি ছয় বছরে ১৭১ দশকিম ৮৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ৯২ লাখ টন পাথর উত্তোলন করে দিবে। ২০১৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি চুক্তি কার্যকর হলে পাথর উৎপাদন শুরু হয় ২৪ ফেব্রুয়ারি।  

জিটিসি ১৪৪ কোটি টাকার উৎপাদন সহায়ক প্রয়োজনীয় মাইনিং ইক্যুইবমেন্ট বিদেশ থেকে আমদানী করার জন্য একই বছরের ডিসেম্বর মাসে খনি কর্তৃপক্ষকে চাহিদাপত্র দেয়। মাইনিং ইক্যুইবমেন্ট আমদানীর জন্য এলসি খোলা হয় ২০১৫ সলের সেপ্টেম্বরে। আর ওই মাসেই উত্তোলনযোগ্য পাথরের মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় জিটিসি উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। পরে ৯৫ কোটি টাকার শতাধিক আইটেমের মাইনিং ইক্যুইবমেন্ট আমদানী করে ২০১৬ সালের নভেম্বর মাস থেকে স্টোপ উন্নয়ন কাজ শুরু করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি।

সূত্রমতে, শুরু থেকেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জিটিসির সঙ্গে খনি কর্তৃপক্ষের মতবিরোধ লেগেই আছে। স্পেয়ার পার্স খাতে ছয় বছরের জন্য বরাদ্দ ১২ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু জিটিসি ১৯ মাসেই তা খরচ করে ফেলেছে। একই সঙ্গে স্পেয়ার পার্স খাতে আরও ১৫ মিলিয়ন ডলার চাহিদা দিয়েছে। জিটিসি এসব অর্থ কন্টিজেনসি, প্রভিশনাল সাম প্রভৃতি খাত থেকে সমন্বয় করার জন্য বলছে। কিন্তু খনি কর্তৃপক্ষ এক খাতের অর্থ অন্য খাতে ছাড় দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে।

এরই মধ্যে ৪ বছর পেরিয়ে গেছে। এ সময়ের মধ্যে উত্তোলন হওয়ার কথা প্রায় ৫৬ লাখ টন পাথর। কিন্তু চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত উত্তোলন করা হয়েছে মাত্র সাড়ে ১৯ লাখ টন। ১২টি স্টোপ উন্নয়নের বিপরীতে হয়েছে মাত্র ৪টি।

চুক্তি অনুযায়ী পাথর উত্তোলন করতে ৭-৮ শতাংশ ডাস্ট বাহির হওয়ার কথা। কিন্তু ১৩-১৪ শতাংশ ডাস্ট বাহির হচ্ছে। প্রতিটন ডাস্ট বিক্রিমূল্য ১০ ডলার আর প্রতিটন পাথরের গড় বিক্রি মুল্য ৩১ দশমিক ৪০ ডলার। এতে করে খনির আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে বলেও সূত্রটি জানায়।
 
মধ্যপাড়া খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এসএম নুরুল আওরঙ্গজেব পাথর উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওযার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, জিটিসির চুক্তি বহির্ভূত কোনো দাবি মেনে নেওয়া হবে না।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘন্টা, জুন ০২, ২০১৮
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।