ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সংসদে ক্যান্টনমেন্ট বিল পাস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০১৮
সংসদে ক্যান্টনমেন্ট বিল পাস

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: প্রত্যেক ক্যান্টনমেন্টে ‘ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড গঠন’ করে ‘ক্যান্টনমেন্ট আইন-২০১৮’ বিল পাস করা হয়েছে। বুধবার (০৪ জুলাই) বিকেলে সংসদের ২১তম অধিবেশনে সংসদীয় কমিটির সুপারিশ আকারে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

সংসদ কাজে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন। এর আগে বিলের উপর আনা সংশোধনী, জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।


 
নামকরণসহ সংসদীয় কমিটির বিলে যেসব সুপারিশ গৃহীত হয়, তাতে বলা হয়েছে, ‘এই আইন ক্যান্টমেন্ট আইন ২০১৮ নামে অবহিত হবে। সরকার সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রত্যেক ক্যান্টনমেন্টের জন্য একটি ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড গঠন করতে পারবে। প্রত্যেক ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের জন্য একজন এক্সিকিউটিভ অফিসার থাকবেন। ’ 

‘এছাড়া সরকার আবশ্যক মনে করলে সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা কোনো নৌ ঘাঁটি বা বিমান ঘাঁটির জন্য বোর্ড গঠন করতে পারবে। সেক্ষেত্রে এই আইনের বিধানাবলী, প্রয়োজনীয় পরিবর্তন সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট বোর্ডের জন্যও প্রযোজ্য হবে। ’
 
বিলের ১৯ দফা পরিমার্জন করে বলা হয়েছে, ‘কোনো ক্যান্টনমেন্ট বা  তার অধিকাংশ অংশ কোনো সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার নির্ধারিত এলাকার মধ্যে অবস্থিত হলে বা কোনো ক্যান্টনমেন্ট যে সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার নিকটতম ওই ক্যান্টনমেন্টের বোর্ড সিটি করপোরেশনের অনুরূপ যথাক্রমে একটি সিটি করপোরেশন বা একটি পৌরসভা হিসেবে গণ্য হবে। ’

‘সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার অধীন এলাকায় নাগরিকগণকে যেরূপ পৌর সুবিধা দেওয়া হয় ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড যতদূর সম্ভব সেরূপ সুবিধাদি কান্টনমেন্টের বাসিন্দাদের দেবে। ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় বসবাসের জন্য কর প্রযোজ্য হবে। কর আদায়ে ব্যর্থ হলে মালামাল ক্রোক করার ক্ষমতা বোর্ডের থাকবে। ’

এতে আরো বলা হয়, ‘ক্যান্টনমেন্ট সীমানার বাইরে সীমানার সন্নিহিত ১০০ মিটার এলাকাকে সংলগ্ন এলাকা হিসেবে গণ্য করা হবে এবং ওই এলাকায় ৪০ ফুটের অধিক উচ্চতার কোনো ভবন ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে নির্মাণ করা যাইবে না। ’
 
বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে বিলে বলা হয়েছে, এই আইনের বিধানাবলী লঙ্ঘন করে কোনো অপরাধ সংঘটিত করার কারণে ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত পুলিশ বাহিনীর কোনো সদস্য বিনা পরোয়ানায় কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না। এছাড়া ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে অসামরিক পুলিশ কর্তৃক কোনো ব্যক্তিকে কোনো অভিযোগে গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট স্টেশন কমান্ডারকে অবহিত করতে হবে।  
 
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ বিষয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ক্যান্টনমেন্ট অ্যাক্ট ১৯২৪ দ্বারা ক্যান্টনমেন্টসমূহের প্রশাসন পরিচালিত হয়ে আসছে। দেশে প্রচলিত ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে ইংরেজি ভাষা প্রণীত আইনসমূহ বাংলায় ভাষান্তর সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার নির্দেশনা বাস্তবায়ন এবং সময়ের ব্যাপ্তি পরিসরে পরিবর্তিত প্রেক্ষিত ও প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বিদ্যমান ক্যান্টনমেন্ট অ্যাক্ট হালনাগাদ করে এই আইনের খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৯ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৮
এসএম/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।