বাংলার মানুষ যেন অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান পায়, উন্নত জীবন পায়- সেটাই তার জীবনের লক্ষ্য জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জনগণের সেবক। জনগণের জন্যই কাজ করতে এসেছি।
শনিবার (২১ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। প্রথম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন, অস্ট্রেলিয়ায় ‘গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ এবং ভারতের কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি-লিট ডিগ্রি লাভসহ নানা অর্জনের জন্য সরকারপ্রধানকে সংবর্ধনা দিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার আগে তার উদ্দেশ্যে মানপত্র পাঠ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পরে তিনি এই মানপত্র প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
প্রাপ্ত সংবর্ধনা বাংলার মানুষকে উৎসর্গ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এদেশের মানুষের ভাগ্য যেদিন পরিবর্তন হবে, সেদিন নিজেকে সার্থক মনে করবো।
বাংলাদেশের মানুষ যা কিছু অর্জন করেছে, মহান ত্যাগের মাধ্যমেই অর্জন করেছে বলেও উল্লেখ করেন জাতির জনকের কন্যা।
সংবর্ধনার শুরুতে পরিবেশন করা হয় জাঁকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বেলা সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। তিনি অতিথি মঞ্চে আসন নিলে অভ্যর্থনা সঙ্গীতের পাশাপাশি জাতীয় ও দলীয় পতাকা নেড়ে স্বাগত জানানো হয় শেখ হাসিনাকে।
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে ‘শেখ হাসিনা, তোমার জন্য বাংলাদেশ ধন্য’ এই শিরোনামে একটিসহ দু’টি গান পরিবেশন করেন শিল্পী মমতাজ। দেশের ঐতিহ্য তুলে ধরে পরিবেশন করা হয় ‘আমার প্রিয় বাংলাদেশ’।
এরপর প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে ‘রূপকাহিনীর রূপকথা’ শিরোনামে কবিতার সঙ্গে পরিবেশন করা হয় নৃত্য। দেশের জনপ্রিয় শিল্পীদের দলীয় সঙ্গীতের সঙ্গে নান্দনিক নৃত্যে সরকারপ্রধানের প্রশংসায় পরিবেশন করা হয় ‘তুমি শেখ হাসিনা, তুমি অনন্য’। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ পাঠ করা হয়।
মূল মঞ্চে আসন নেন মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতা ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সকাল থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হতে থাকেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ঢাক-ঢোল পিটিয়ে, লাল-সবুজের রঙিন পোশাক পরে উদ্যানে আসেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। জয় বাংলা ও শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের নামে নানা স্লোগানে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয় গোটা এলাকায়।
সমাবেশ প্যান্ডেলটি কয়েকটি অংশে ভাগ করা হয়। প্যান্ডেলের বিভিন্ন অংশে স্থাপন করা হয় বড় বড় প্রজেক্টর। উদ্যান এলাকার পাশাপাশি রাজধানীর বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, পল্টন, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ, জাতীয় সংসদ ভবন, ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন এলাকায় নানা ধরনের সাজসজ্জা করা হয়। জাঁকজমক সাজসজ্জার মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায় নৌকার প্রতিকৃতি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৮
এসকে/আরএম/এমইউএম/পিএম/এসকেবি/এইচএ/
** সোহরাওয়ার্দীতে প্রধানমন্ত্রী, সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু