ঢাকা, শুক্রবার, ২ মাঘ ১৪৩১, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বায়ু দূষণ রোধে সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৫
বায়ু দূষণ রোধে সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র

ঢাকা: বায়ু দূষণ মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে, ড. জেমি শাওয়ার, যুক্তরাষ্ট্রের বায়ুর মান বিষয়ক বিজ্ঞান দূত, ১২-১৬ জানুয়ারি ঢাকা সফর শেষ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস জানায়, সফরকালে ড. শাওয়ার স্থানীয় শিক্ষাবিদ, সরকারি কর্মকর্তা এবং এনজিওদের সঙ্গে সহযোগিতা করেন।

তিনি বায়ুর মানোন্নয়নের জন্য বিশেষজ্ঞ পরামর্শ ও কার্যকর সমাধান শেয়ার করেছেন। তার এই সফরে বায়ুর মান ব্যবস্থাপনা, কার্যকর নীতি, এবং শিক্ষাগত সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। বিশেষ করে উন্নত মনিটরিং সিস্টেম, পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তি, এবং বহুমুখী অংশীদারিত্বের প্রয়োজনীয়তার ওপর তিনি জোর দেন।

ড. শাওয়ার, যিনি ইউনিভার্সিটি অফ উইসকনসিন-ম্যাডিসনের অধ্যাপক এবং উইসকনসিন স্টেট ল্যাবরেটরি অফ হাইজিনের পরিচালক, ২০১৮ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বায়ু মান বিষয়ক বিজ্ঞান দূত হিসেবে কাজ করছেন।

১২ জানুয়ারি ড. শাওয়ার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়ুর মান গবেষণা এবং পরিবেশগত নীতি আলোচনায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

অনুষ্ঠানে, ড. শাওয়ার ঢাকার গুরুতর বায়ু দূষণ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন এবং বিদ্যুৎকেন্দ্র, যানবাহন, বায়োমাস পোড়ানো, বর্জ্য দহন, নির্মাণ কাজের ধুলা এবং ইটভাটার মতো মূল দূষণ উৎস চিহ্নিত করেন। তিনি উন্নত মনিটরিং সিস্টেম এবং দূষণের উৎস বিশ্লেষণমূলক গবেষণার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন, যা নীতি নির্ধারণে সাহায্য করবে এবং মৌসুমি ও স্থানীয় দূষণ সমস্যাগুলি সমাধানে সহযোগিতা করবে।

বায়ু দূষণের বহুমুখী কারণ উপলব্ধি করে, ড. শাওয়ার বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং পরিবহন খাতের অংশীদারদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং  পিএম২.৫ সহ অন্যান্য বায়ু দূষণকারী গ্যাসের নির্গমন নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তিগত সমাধানের বিষয়ে আলোচনা করেন।

১৪ জানুয়ারি, প্রতিনিধি দলটি ঢাকায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের বায়ুর মান পর্যবেক্ষণ যন্ত্র পরিদর্শন করেন, যা দূতাবাস প্রাঙ্গণে পিএম২.৫ পরিমাপ করে। তারা একটি জনপ্রিয় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেন, যেখানে বাংলাদেশের বায়ুর গুণমান চ্যালেঞ্জ এবং আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে প্রাপ্ত পরিজ্ঞান শেয়ার করা হয়।

সফরকালে ড. শাওয়ারের সঙ্গী ছিলেন কানাডার ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটির ড. জিল বামগার্টনার এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট লুইস ইউনিভার্সিটির ড. বেঞ্জামিন ডি ফোয়া। ড. বামগার্টনার, যিনি শহুরে এলাকায় পরিবেশ দূষণের মানব স্বাস্থ্য প্রভাব নিয়ে কাজ করেন এবং ড. ডি ফোয়া, যিনি কম্পিউটার মডেলের মাধ্যমে বায়ু দূষণের উৎস নিয়ে গবেষণা করেন, তারা দুজনই দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং পরিবেশগত স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবিলায় তাদের বিশেষজ্ঞ জ্ঞান শেয়ার করেন।

এই সফর জ্ঞান বিনিময় এবং সম্মিলিত নীতি উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের বায়ু মানোন্নয়ন প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অব্যাহত প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৫
টিআর/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।