ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ছাত্রীদের নিয়ে নেপালি মন্ত্রীর বক্তব্যে তোলপাড়

তৌহিদুর রহমান, ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৮
ছাত্রীদের নিয়ে নেপালি মন্ত্রীর বক্তব্যে তোলপাড় নেপালের আইনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কাঠমান্ডুতে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: বাংলাদেশের মেডিকেল কলেজে পড়তে আসা নেপালের নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে নেতিবাচক একটি মন্তব্য করেছেন দেশটির  আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী শের বাহাদুর তামাং। 

মন্ত্রীর ‘এহেন’ বক্তব্য নিয়ে ঢাকা ও কাঠমান্ডুর নেপালি শিক্ষার্থীদের মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে পড়তে আসা দেশটির শিক্ষার্থীরা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার নেপাল দূতাবাসে স্মারকলিপিও দিয়েছেন।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নেপালের মন্ত্রী শের বাহাদুর তামাং রোববার (২২ জুলাই) কাঠমান্ডুর একটি অনুষ্ঠানে বলেন, ‘বাংলাদেশে এমবিবিএস  কোর্সে পড়তে যাওয়া নেপালের ছাত্রীরা নিজেকে বিক্রি করে দিয়ে থাকেন। তারা নিজেকে বিক্রি করেই তাদের সার্টিফিকেট অজর্ন করেন। ’

নেপালি মন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর তোলপাড় শুরু হয় কাঠমান্ডুতে। নেপালের সেই ঢেউ এখন লেগেছে ঢাকার নেপালি শিক্ষার্থীদের মাঝেও।   

শের বাহাদুর তামাংয়ের বক্তব্যে দেশটির গণমাধ্যম ছাড়াও  সোস্যাল মিডিয়ায় তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এক পর্যায়ে গত সোমবার (২৩ জুলাই) ওই বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চান নেপালের মন্ত্রী।  

তিনি তার বক্তব্য প্রত্যাহারও করে নেন। তবে  শের বাহাদুর তামাং বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিলেও কাঠমান্ডুতে এখন তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে।  

একই ভাবে ঢাকায় নেপালি শিক্ষার্থীরাও তার বিরুদ্ধে একাট্টা হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) নেপালিজ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন্স বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ঢাকার নেপাল দূতাবাসে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। সেই স্মারকলিপিতে  নেপালের আইনমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নেপালিজ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন্স বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট রাজু শাহ মঙ্গলবার ( ২৪ এপ্রিল) বাংলানিউজকে বলেন, নেপালের আইনমন্ত্রীর বক্তব্যে আমরা ক্ষুদ্ধ ও ব্যথিত হয়েছি। একজন মন্ত্রী ও জনপ্রতিনিধি হয়ে তিনি এমন মন্তব্য করতে পারেন না।  

‘তিনি ইতোমধ্যে ক্ষমা চেয়েছেন। তবে এই ক্ষমা চাওয়াটাই যথেষ্ট নয়। আমরা তার পদত্যাগের দাবিতে ঢাকার নেপাল দূতাবাসে স্মারকলিপি দিয়েছি। ’ 

সূত্র জানায়, নেপালের মন্ত্রীর ওই বক্তব্যের পর  মঙ্গলবার নেপালে তার পদত্যাগের গুজব ছড়িয়ে পড়ে।  সোস্যাল মিডিয়ায় বলা হয়, তিনি ওই মন্তব্যের জন্য পদত্যাগ করতে চলেছেন।  

তবে গণমাধ্যমের কাছে  শের বাহাদুর তামাং পদত্যাগের খবর অস্বীকার করেছেন।  

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে নেপালের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করছেন। বাংলাদেশের মেডিকেল শিক্ষার মান উন্নত হওয়ায় এশিয়ার অনেক শিক্ষার্থীই পড়তে আসেন এখানে। বর্তমানে বাংলাদেশে নেপালের প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী  এমবিবিএস কোর্সে অধ্যয়ন করছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪১ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৮
টিআর/এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।