গত রোববার (২২ জুলাই) বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নাসরীন ওয়াদুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একাডেমিক কমিটির সভাসূত্র বাংলানিউজকে এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে নিশ্চিত করেছে।
এর আগে মীর ফখরুজ্জামান স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন উল্লেখ করে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী নামফলকটি আলকাতরা দিয়ে ঢেকে দেন। সরেজমিনে দেখা যায়, কলা ভবনের তৃতীয় তলার গবেষণাগার ও মনোবিজ্ঞান বিভাগের নামফলকে নেতাকর্মীদের দেওয়া আলকাতরা সাদা রং দিয়ে মুছে ফেলা হয়েছে।
বিভাগের শিক্ষকদের মতে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে অধ্যাপক মীর ফখরুজ্জামান ১৯৭২ সালে গ্রেফতার করা হয়, তাই বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিভাগের শিক্ষকদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মনোবিজ্ঞান বিভাগের গবেষণাগারের নাম ‘মীর ফখরুজ্জামান গবেষণাগার’-এর পরিবর্তে ‘গবেষণাগার-১’ এবং ‘গবেষণাগার-২’ করা হবে। চেয়ারম্যান অফিসের দেয়ালে প্রফেসর মীর ফখরুজ্জামানের নামফলক সরিয়ে ফেলা হবে এবং মীর ফখরুজ্জামান ট্রাস্ট ফান্ড বাতিল হবে।
ওই বিভাগের অধ্যাপক নাম না প্রকাশের শর্তে বাংলানিউজকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতাবিরোধী ভূমিকার কারণে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিভাগের সকল শিক্ষক এতে সম্মতি দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নাসির ওয়াদুদকে ফোন করা হলেও কলটি রিসিভ হয়নি।
এদিকে এসব সিদ্ধান্তের ব্যাপারে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বাংলানিউজকে বলেন, বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভার সিদ্ধান্ত আমাদের কাছে এসেছে। আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিব।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, একাডেমিক কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই নাম আর থাকবে না।
১৯৬৫ সালে মাস্টার্স প্রোগ্রামের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞান বিভাগ চালু হয়। এরপর ১৯৬৭ সালে তিন বছর মেয়াদী অনার্স কোর্স চালু হয় বিভাগটিতে।
বাংলাদেশ সময়: ০২০৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৮
এসকেবি/এনএইচটি