মঙ্গলবার (২১) সকালে বিমানবন্দর রেলস্টেশনে এমন চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে বিমানবন্দর রেলস্টেশনে দেখা যায়, কমলাপুর স্টেশন থেকে ছেড়ে আসছে ট্রেন।
তবে ছাদেও ঠাঁই নেই। কমলাপুর থেকেই বেশিরভাগ ট্রেনের ছাদ ভর্তি। তারপরেও ছাদে সামান্য জায়গা থাকলেই বিমানবন্দর স্টেশনে পুরোপুরি ভর্তি হয়ে যাচ্ছে।
বিমানবন্দর রেল স্টেশনে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বহিনীর সদস্যরা। রয়েছেন স্টেশনের লোকজনও। তবে তারা যাত্রীদের সামাল দিতে পারছেন না। কয়েকজন আনসারকে দেখা গেলো বিমানবন্দরের যাত্রী ছাউনির ছাদের ওপর দাড়িয়ে পাহারায় রয়েছেন। কেউ যেন ওভারপাস থেকে যাত্রী ছাউনির ছাদের ওপর দিয়ে ট্রেনে উঠতে না পারে, সেজন্যই এ ব্যবস্থা। তবে ট্রেন থামলে জানালা-দরজা বেয়েই ছাদে উঠে পড়ছেন যাত্রীরা। পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও ছাদে উঠতে দেখা গেছে। আবার স্ট্যান্ডবাই টিকিট নিয়ে দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন অনেকেই।
সকাল পৌনে ৯টায় এগারসিন্ধুর এক্সপ্রেস ট্রেন আসতেই দেখা গেলো হুড়োহুড়ি করে ছাদে উঠছেন যাত্রীরা। কে কার আগে উঠবেন তা নিয়েই প্রতিযোগিতা।
বিমানবন্দর স্টেশনের দায়িত্বরত কর্মকর্তা জানান, কোনো কোনো ট্রেন আসতে একটু দেরি হচ্ছে। নীলসাগর এক্সপ্রেস ও ধূমকেতু আসতে ৫ ঘণ্টা দেরি হবে। এ নিয়ে যাত্রীদের মধ্যেও ক্ষোভ।
বিমানবন্দরে উপস্থিত সুন্দরবন এক্সপ্রেসের যাত্রী মামুন হোসেন জানান, সুন্দরবন এক্সপ্রেস এক ঘণ্টা দেরিতে বিমানবন্দরে আসবে বলে স্টেশন থেকে জানানো হয়েছে।
ময়মনসিংহগামী যাত্রী আবুল হোসেন বলেন, বিমানবন্দর এলাকায় টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা প্রভৃতি এলাকার যাত্রীরা বেশি ওঠেন। এসব এলাকার লোক ট্রেনে কম সময়ে বাড়ি যেতে পারেন, তাই ট্রেনকেই বেছে নেন তারা। তবে অনেকেই ট্রেনের ছাদে ঝুঁকি নিয়ে চড়েন। ঝুঁকি থাকলেও এটাই বাস্তবতা।
কেননা এতো লোক ট্রেনের ছাদে ছাড়া কোনোভাবেই বাড়ি যাওয়া সম্ভব নয় বলেও তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৮
টিআর/এএ