ছাপরা মসজিদ এলাকার হাজী আলম মুন্সি বলেন, ‘চামড়ার দাম নেই। ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় গরু কিনে ৫শ’ টাকায় মহল্লার পোলাদের কাছে চামড়া বিক্রি করেছি।
নগরীর সাইন্সল্যাব, আজিমপুর এতিমখানার সামনে চামড়া বেচাকেনা চলছে। মূলত পোস্তার আড়তদার ও ট্যানারি মালিকেরা এসব অস্থায়ী হাটে চামড়া কিনছেন। ট্যানারি মালিকদের কাছে চামড়া বিক্রি করছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা।
কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পানির দামে চলছে চামড়া বেচাকেনা। সর্বোচ্চ ৫০ ফুট বড় গরুর চামড়া ৮শ’ এবং ১৫ ফুটের চামড়া ৪শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহের জন্য দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। পশু ও আকারভেদে এবার চামড়ার দাম গতবারের চেয়ে কম। ট্যানারি ব্যবসায়ীরা এবার ঢাকায় লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া কিনবেন ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়; ঢাকার বাইরে এর দাম হবে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা।
এছাড়া সারাদেশে খাসির চামড়া ১৮-২০ টাকা এবং বকরির চামড়া ১৩-১৫ টাকায় সংগ্রহ করবেন ব্যবসায়ীরা।
রুবেল লেদার কমপ্লেক্সের মালিক জুম্মোন আলী বলেন, চামড়া কিনে আমাদের বিক্রি করতে হবে। সেই কথা মাথায় রেখে চামড়া কিনছি। সরকার এবার চামড়ার রেটই কম দিয়েছে। এই জন্যই পানির দরে বিক্রি হচ্ছে। আমাদের কিছু করার নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৮
এমআইএস/আরআর