ডিপোর বাস চালক, মেকানিক, কন্ডাক্টরসহ অন্যান্য বিভাগের কর্মীরা বলছেন, মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) রাত ৮টার মধ্যে ১০ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধসহ অন্যান্য দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়া না হলে দেশের সবগুলো ডিপোতে কর্মবিরতি চলবে।
এ বাস ডিপোর মেকানিক গাজী মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের বারবার আশ্বাস দিয়েও বেতন দেওয়া হয় নাই।
এদিকে, বিকেল পৌনে ৩টায় ডিপোতে আসেন বিআরটিসি চেয়ারম্যান ফরিদ আহমদ ভূঁইয়া। শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে চাইলেও তাতে রাজি হননি শ্রমিক নেতারা। একপর্যায়ে হ্যান্ড মাইক নিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলতে বেরিয়ে আসেন নিজের কক্ষ থেকে।
এসময় তিনি শ্রমিকদের উদ্দেশে বলেন, প্রতি মাসে এ ডিপোর আয় ৪৩ থেকে ৪৫ লাখ টাকা। কিন্তু আপনাদের বেতনের জন্য খরচ হয় প্রায় ৫০ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রায় ৫ লাখ টাকার একটি ঘাটতি থাকে। এ খাটতির জন্যই আপনাদের বেতনে কিছু বকেয়া পড়েছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের নতুন ১ হাজার ১০০টি বাস দেওয়া হচ্ছে। এ বাসগুলো আমাদের বহরে যুক্ত হলে তা থেকে যে আয় হবে তা দিয়ে আপনাদের বেতন পরিশোধ করা হবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে বিআরটিসি পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়াবে।
বিআরটিসির চেয়ারম্যান শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে বাস নিয়ে বের হওয়ার আহ্বান জানালে শ্রমিকরা তা প্রত্যাখ্যান করেন। বেতন পরিশোধ করলে তবেই বাস নিয়ে বের হবেন বলে শ্রমিকরা জানিয়ে দেন।
বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও সুরাহা না হওয়ায় এবং ইয়েলটসের পক্ষ থেকে বেতন পরিশোধের কোনও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা না পাওয়ায় শ্রমিকরা অবস্থান ধর্মঘট চালিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান।
শ্রমিকদের নানাবিধ অভিযোগ ও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বিআরটিসির চেয়ারম্যান ফরিদ আহমদ ভূঁইয়ার মন্তব্য চাওয়া হলে কোনও কথা বলতে রাজি হননি তিনি। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মিটিং শেষে পরবর্তীতে এ বিষয়ে কথা বলবেন বলে বাংলানিউজকে জানান তিনি। তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি সংস্থাটির প্রধান।
সকাল থেকে কর্মবিরতি দিয়ে বিক্ষোভ করে আসছে জোয়ার সাহারা ডিপোর শ্রমিকরা। ১০ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ, বদলি বাণিজ্য বন্ধসহ নানাবিদ দাবিতে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি ও ধর্মঘটের ডাক দেয় তারা।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৯
এসএইচএস/আরবি/