এছাড়া একই অভিযোগে বনানীর বন ফুড কর্নারের মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে বুধবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে গুলশান-২ নম্বর সার্কেল এবং বনানী এলাকায় অভিযান পরিচালিত হয়।
ডিএনসিসির ভারপ্রাপ্ত মেয়র জামাল মোস্তফার উপস্থিতিতে অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদ আনোয়ার, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমদাদুল হক এবং ডিএনসিসির অন্যান্য কর্মকর্তারা ছিলেন।
গুলশান-২ এর ১২৩ নম্বর রোডে অবস্থিত কোরিয়ান নাগরিক সান ইয়ল লিমিটেডের মালিকানাধীন কোরিয়ানা রেস্টুরেন্টে অভিযান চালানো হয়। এসময় রেস্টুরেন্টে রাখা হাঁসের ডিমে বিষ্ঠা ও একই ফ্রিজে মাছ-মাংসসহ অন্যান্য খাদ্যপণ্য রাখায় গুণগত মান পরিবর্তন হয়েছে বলে প্রতিয়মান হয়। তাছাড়া রেস্টুরেন্টের কর্মীদের কারো স্বাস্থ্য বিষয়ক সনদ নেই।
গরুর মাংস ও অন্যান্য পণ্যের গায়ে মেয়াদ উল্লেখ না থাকায় ভোক্তা অধিকার আইনে মালিককে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ডের কথা উল্লেখ করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদ আনোয়ার।
এসয়ম ভারপ্রাপ্ত মেয়র জামাল মোস্তফা বলেন, শুধু অস্বাস্থ্যকর পরিবেশই না, গুলশানে যে জায়গাটিতে রেস্টুরেন্ট করা হয়েছে এটা আসলে আবাসিক এলাকা। ২০১৪ সালের পর আবাসিক এলাকায় কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকতে পারবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই রেস্টুরেন্ট বন্ধ করা উচিত বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তবে রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ উচ্চ আদালতে একটি রিট করায় রেস্টুরেন্টটি বন্ধ করতে আইনি বাধা রয়েছে বলে জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত মেয়র বলেন, আমরা আরো বিস্তারিত জেনে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবো।
এরপর ওই এলাকার আরেকটি রেস্টুরেন্টকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং খাবার পণ্যে মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ না থাকায় ভোক্তা অধিকার আইনে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া বনানী ১১ নম্বর রোডের বন ফুড কর্নার নামে আরও একটি রেস্টুরেন্টকে ভোক্তা অধিকার আইনে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৯
এসএম/আরবি/