বৃহৎ বৃত্তাকার এ নান্দনিক শিল্পকর্ম মায়াবী রঙে রাঙা। বেশিটা অংশজুড়ে ইটরঙের আভা।
শ্রীমঙ্গল উয়দন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী সুস্মিতা। বাবা নারায়ণ হাজরা। পেশায় চা শ্রমিক। অভাব-অনটন আর অদেখা স্বপ্নের মধ্যে নিত্য বেড়ে ওঠা তাদের। এই অভাববোধটুকু দমাতে পারেনি সুস্মিতার আঁকাআঁকি।
নিজেদের বাড়ির উঠোনজুড়ে সে অংকন করেছে বিশাল আল্পনা। রাস্তা সংলগ্ন তাদের বাড়ি। এ রাস্তা দিয়ে কেউ গেলেই খুব সহজে চোখ পড়ে সেই ইটারঙ আল্পনা উপর। তারপর মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকার পালা।
প্রতিবেশী রাজন হাজরা বলেন, আমাদের এলাকায় সুস্মিতার মতো এভাবে সুন্দর করে কেউ আল্পনা আঁকতে পারে না। আমরা ওর এমন আর্ট দেখে মুগ্ধ হই।
সুস্মিতা বাংলানিউজকে বলেন, আমি কারো কাছে এই আল্পনা শিখিনি। পরিচিতদের কাছ থেকে নকশা সংগ্রহ করে তা চর্চা করেছি। আর্ট স্কুলে ভর্তি হওয়ার ইচ্ছে আমার আছে। কিন্তু আমাদের আর্থিক অবস্থা ভালো না।
সে আরও বলে, আমাদের ধর্মীয় আচার-আনুষ্ঠানে আমি এভাবে আল্পনা আঁকি। আল্পনা আঁকতে আমার খুব ভালো লাগে। আমার আঁকা দেখে সবাই প্রশংসা করে।
শ্রীমঙ্গল উয়দন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক কবিতা দাস বাংলানিউজকে বলেন, আমি নিজেও জানতাম না সুস্মিতা এভাবে সুন্দর করে আঁকতে পারে। আমাদের শিক্ষার্থীর মধ্যে পড়াশোনার পাশাপাশি অবশ্যই তাদের নিজ নিজ সৃজনশীলতা বিকাশ হওয়া প্রয়োজন।
শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের জন্য যে যেটা জানে তার নিয়মিত চর্চা করে যেতে হবে বলেও জানান কবিতা দাস।
বাংলাদেশ সময়: ১১০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৯
বিবিবি/আরবি/