সোমবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে টেকনাফ সীমান্তের নাফ নদীতে অবস্থিত বাংলাদেশ-মিয়ানমার ট্রানজিট জেটি দিয়ে কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আইনুল মোর্শেদ খান পাঠানের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল মিয়ানমারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।
প্রতিনিধি দলের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আইনুল মোর্শেদ বাংলানিউজকে জানান, ৩ ঘণ্টাব্যাপী চলা এ বৈঠকে দুই দেশের সীমান্ত সুরক্ষা, মাদক প্রতিরোধ, যৌথ টহল জোরদার, সীমান্তের মাইন অপসারণ ও চোরাচালান প্রতিরোধ বিষয়ে পারস্পরিক মত বিনিময় এবং ঘুমধুম সীমান্তের তুমব্রু খালের উপর পাকা পিলার দিয়ে কাঁটা তারের বেড়া সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি জানান, বৈঠকে বিশেষ করে ইয়াবা পাচার বন্ধের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে আলোচনা করা হয়েছে। আমরা অভিযোগ করেছি তাদের সীমান্তে ইয়াবার কারখানা আছে। কিন্তু তারা এ বিষয়টি অস্বীকার করেছে। তবে ইয়াবা পাচার বন্ধে তারাও সীমান্তে টহল জোরদার করতে আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছে।
এছাড়াও ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্তে তুমব্রু খালের উপর পাকা স্থাপনা নির্মাণের বিষয়টি আমরা বৈঠকে উত্থাপন করেছি। সেখানে মূলত কাঁটা তারের বেড়া সংস্কার করা হচ্ছে। তবে ভবিষ্যাতে এ ধরনের কিছু করলে আগেই বিজিবিকে অবহিত করবে বলে তারা জানিয়েছে।
প্রতিনিধি দলে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজিবি কক্সবাজার সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এসএম আয়েজিদ খান, বিজিবি বান্দরবান সেক্টর কমান্ডার কর্নেল জহিরুল হক খাঁন, নাইক্ষ্যংছড়ির বিজিবি-১১ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আসাদুজ্জামান, রামু বিজিবি-৩০ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জাহিদুর রহমান, আলীকদম, বিজিবি- ৫৭ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার খন্দকার মিজানুর রহমান, কক্সবাজার রিজিয়ন পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ খালিদ আহমেদ, মেজর মো. তারেক মাহমুদ সরকার, মেজর মোহাম্মদ বিন সাহিরুল ইবনে রিয়াজ, মেজর জিএম সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৯
এসবি/আরআইএস/