শুক্রবার (০১ ফেব্রুয়ারি) সকালে স্থানীয় লোকজন জরিনাকে মৃত অবস্থায় তার ঘরে পরে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, উপজেলার কলম ইউনিয়নের পুন্ডরী গ্রামের মৃত মোহাম্মদের স্ত্রী জরিনা ও তার ছেলে জিয়াউল এক সঙ্গে বসবাস করতেন। প্রায় ৬ বছর আগে জিয়াউল মানসিক রোগে আক্রান্ত হন। এরপর থেকে জরিনাকে প্রায়ই ছেলের হাতে নির্যাতনের শিকার হতে হতো।
শুক্রবার সকালে জরিনাকে ঘরের মধ্যে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখে এলাকাবাসী জিয়াউলের খোঁজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে তাকে বাড়ির পাশে মাঠের মধ্যে বসে থাকতে দেখেন তারা। পরে পুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার ও ঘাতক ছেলেকে আটক করা হয়।
তিনি আরো জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে লাঠির আঘাতে জরিনার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে আটক জিয়াউল মানসিক রোগী বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন।
কলম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মইনুল হক চুনু বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে মাথায় লাঠির আঘাতেই জরিনার মৃত্যু হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৯
আরএ