রোববার (০৩ ফ্রেবুয়ারি) রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০১৯ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।
খাদ্য পরীক্ষার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে ও বিভাগীয় পর্যায়ে এই ‘বিশেষ ল্যাবরেটরি’ প্রতিষ্ঠা করা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অন্যান্য জিনিসগুলো টেস্ট করার জন্য বিএসটিআইকে আমরা আধুনিক ও উন্নত করেছি।
পড়ুন>>এবার খাদ্যে ভেজালের বিরুদ্ধেও আসছে জোরালো অভিযান
‘আমাদের একটা কেন্দ্রীয় ল্যাবরেটরি থাকবে পাশাপাশি প্রত্যেকটা বিভাগেও ল্যাবরেটরি থাকবে। যাতে যেকোনো সময় আমরা যেকোনো খাদ্য সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা করে দেখতে পারি। ’
‘খাদ্যে ভেজাল দেওয়াকে কিছু মানুষের ‘চরিত্রগত বদভ্যাস’ এবং এটিও এক ধরনের দুর্নীতি’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আর আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে যা যা করণীয় আমরা তা করবো, করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, কোনো বিষক্রিয়ায় আমাদের দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হোক সেটা আমরা চাই না।
খাদ্যে ভেজালবিরোধী অভিযান আরও জোরদার হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছি। দুর্নীতির বিরুদ্ধেও- এই ভেজাল দেওয়া এক ধরনের দুর্নীতি। কাজেই দুর্নীতির বিরুদ্ধেও আমরা আমাদের অভিযান চালাচ্ছি। ভেজালের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে এটা অব্যাহত থাকবে।
‘আর হাটে-মাঠে-ঘাটেও যেন এই ভেজালবিরোধী অভিযানটা অব্যাহত থাকে। তার ব্যবস্থাও আমরা নিচ্ছি। ভবিষ্যতে আরও নেবো। ’
ভেজাল বন্ধে নাগরিক সচেতনতার ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ সচেতন হলে কেউ খাবার নিয়ে জনগণকে ঠকাতে পারবে না।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক ও খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।
সভাপতিত্ব করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহাবুদ্দিন আহমদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৯
এমইউএম/এমএ